কোনাবাড়ীতে বেতন, বোনাসের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে কেয়া নীট কম্পোজিট পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আজও বিক্ষোভ করছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা।

কেয়া নীট কম্পোজিট লিমিটেডে (জরুন এলাকায়) প্রায় আট হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের (কাশিমপুর জোন) এএসপি দীপক চন্দ্র মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শ্রমিকেরা বকেয়ার দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ করছে। শ্রমিকেরা বলেছে, বকেয়া পরিশোধ করলে আমরা কাজ করব।

কেয়া নীট কম্পোজিট লিমিটেডের আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, গত ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন, বকেয়া ছুটির টাকা ও ঈদ বোনাস দেওয়া হবে বলেও দিচ্ছে না।

শ্রমিকেরা জানায়, এসব বকেয়া না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে জানতে আজ কেয়া নীট কম্পোজিট লিমিটেডের এডমিন অফিসার সুমন মিয়াকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি কল ধরেননি। তবে তিনি গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছে। শুধু ফেব্রুয়ারি বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।

এদিকে, গতকাল আন্দোলনের মুখে বিকেলে শুধু কেয়া স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ইফতারের পর স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের সঙ্গে কেয়া নীট কম্পোজিট লিমিটেডের গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এক হয়ে কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। রাত ১১টা সময় রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেয় তারা। পরে সকালের শিফটের শ্রমিকরা এসে কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। তাদের দাবি গত ২ বছরের ছুটির টাকা ও ফ্রেব্রুয়ারি মাসের বেতনের।

গার্মেন্টস শ্রমিকরা বলছেন, স্পিনিং শ্রমিকদের বোনাস দিয়েছে আমরা কি অপরাধ করেছি। আমাদের কেন বেতন বোনাস দিচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার একজন স্টাফ বলেন, 'আমরা গত ৬ মাস যাবত বেতন পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে চলবে। বেতন চাইলেই চাকরি নাই।'

গাজীপুরের শিল্প পুলিশ, কোনাবাড়ী থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at tissue warehouse in Narayanganj

Upon receiving the information, 19 firefighting units from various stations rushed to the scene and are currently working to bring the blaze under control

29m ago