গেইল, ওয়ার্নারের পর টি-টোয়েন্টিতে কোহলির 'সেঞ্চুরি'
রান তাড়ায় আরও একবার জ্বলে উঠলেন বিরাট কোহলি। ফিফটি হাঁকিয়ে এবারের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে পাইয়ে দিলেন প্রথম জয়। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতার রাতে অন্যরকম এক সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন ভারতের তারকা ব্যাটার। এতদিন এই তালিকায় ছিলেন স্রেফ দুজন— ক্রিস গেইল ও ডেভিড ওয়ার্নার।
সোমবার রাতে এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে কোহলি খেলেন ৭৭ রানের ঝলমলে ইনিংস। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৯ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১১ চার ও ২ ছক্কা। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এটি তার শততম পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। এই সংস্করণে ৩৭৮ ম্যাচ খেলে ৩৬১ ইনিংসে ব্যাট করেছেন কোহলি। ৯২টি ফিফটির সঙ্গে আটটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। ৪১.২৬ গড় ও ১৩৩.৪৯ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ১২০৯২ রান।
কোহলিকে নিয়ে সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে অন্তত ১০০টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা ক্রিকেটারের সংখ্যা বেড়ে হলো তিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বিস্ফোরক ব্যাটার গেইল ৪৬৩ ম্যাচের ৪৫৫ ইনিংসে ১১০ বার ও অস্ট্রেলিয়ার তারকা ওপেনার ওয়ার্নার ৩৭১ ম্যাচের ৩৭০ ইনিংসে ১০৯ বার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন। গেইল ২২টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেছেন ৮৮টি। ওয়ার্নার ১০১টি হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি আটটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
কোহলির অর্জনের ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৪ উইকেটে জিতেছে বেঙ্গালুরু। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঞ্জাবের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৪ বল হাতে রেখে। প্রথমে ভূমিকা রাখেন কোহলি, পরে দীনেশ কার্তিক নিশ্চিত করেন দলের জয়। মাত্র ১০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
অন্য প্রান্তে টানা উইকেট পড়তে থাকলেও বেঙ্গালুরুকে ম্যাচে রাখেন কোহলি। ৩১ বলে ফিফটি করার পথে অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি ও ক্যামেরন গ্রিনকে সাজঘরে ফিরতে দেখেন তিনি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও টিকতে পারেননি। সেসময় একাই লড়াই চালিয়ে যান কোহলি। দলীয় ১৩০ রানে তিনিও থামলে হারের শঙ্কা জাগে। তারপর পাল্টা আক্রমণে মহিপাল লোমররের সঙ্গে স্রেফ ১৮ বলে ৪৮ রানের ম্যাচজয়ী অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন কার্তিক।
Comments