মোদির সবচেয়ে বড় হুমকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল
নজিরবিহীন এক ঘটনায় ভারতের প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন আম আদমি পার্টির জনপ্রিয় নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদি সরকারের এই পদক্ষেপ বিজেপির জন্য হিতে-বিপরীত হতে পারে—'আম আদমি' থেকে শহীদের মর্যাদা পেতে পারেন কেজরিওয়াল।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের এক মাসের কম সময় আগে এই গ্রেপ্তারের ঘটনা জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে আবগারি নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) করা মামলায় আইনগত নিরাপত্তা চেয়ে কেজরিওয়ালের আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইডির একটি ১২ সদস্যের দল উত্তর দিল্লির সিভিল লাইনস এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের তাৎক্ষণিক প্রভাব
বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় ভারতের প্রায় সব বিরোধীদল নিন্দা জানিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদন মতে, কয়েকজন নেতা প্রধানমন্ত্রী 'নরেন্দ্র মোদির' বিরুদ্ধে জনতার 'বিপ্লবের' হুশিয়ারি দিয়েছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আজ শুক্রবার দিল্লিতে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এএপির আইনপ্রণেতা অতিশি ও সৌরভ ভরদ্বাজ। সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে পুলিশরা অতিশিকে টানাহ্যাঁচড়া করে একটি বাসে উঠাচ্ছেন।
ইন্ডিয়া জোটের নেতারাও একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্তের দাবি
আম আদমি পার্টির নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, কেজরিওয়াল ও দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাংবাদিকদের দলটির আইনপ্রণেতা অতিশি সিং (অতিশি নামেই পরিচিত) জানান, গ্রেপ্তারের আদেশ বাতিল করার জন্য তারা সুপ্রিম কোর্টে জরুরি শুনানির আবেদন জানাবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ আনেন।
'আমরা জানতে পেরেছি, ইডি কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস ও আধা-সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির মাত্রা থেকে এটা অনুমিতই ছিল যে কেজরিওয়ালকে আজ ইডি গ্রেপ্তার করবে। তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী যদি কোনো নেতাকে ভয় পেয়ে থাকেন তবে তা হলেন কেজরিওয়াল', যোগ করেন তিনি। 'দুই বছর ধরে এই মামলা চলছে, কিন্তু ইডি ও সিবিআই এক রুপিও উদ্ধার করতে পারেনি। হাজারো অভিযান চালানো সত্ত্বেও কোনো অর্থ উদ্ধার হয়নি। নির্বাচনের ঘোষণার পর তাকে গ্রেপ্তার করা রাজনৈতিক চক্রান্তের সামিল। আপনারা যদি মনে করেন, কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে তার আদর্শ ধ্বংস করবেন, তাহলে ভুল করছেন। কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। প্রয়োজনে তিনি জেলখানায় বসে (দিল্লি) সরকার চালাবেন। এমন কোনো আইন নেই যা এটা ঠেকাতে পারে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।'
ভারতে বিরোধীদলের ওপর দমন-পীড়ন ও গণতন্ত্রের ক্ষয়ের অভিযোগ
ভারতের সাত পর্যায়ের জাতীয় নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হলেন। সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশ কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং অনেকের বাড়ি ও সম্পত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। ভারতের সবচেয়ে বড় বিরোধীদল কংগ্রেস বৃহস্পতিবার সকালে জানায়, কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের জেরে তাদের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারছে না।
ভারতে কিছুদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার করা হলো কেজরিওয়ালকে। তবে গ্রেপ্তারের আগেই সোরেন ইস্তফা দেন।
এর আগে একই অভিযোগে উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও এএপির আইনপ্রণেতা সঞ্জয় সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মোদি সরকারের অধীনে সব গণতন্ত্রের গুণগত মান পরিমাপ করা হয় এরকম সব ধরনের মানদণ্ডে পিছিয়েছে ভারত। এর পেছনে মূলত বিরোধীদলের নেতা, সমালোচক ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার দায়ী। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এসব প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য নয় এবং তারা নিজেরাই গণতন্ত্র সূচক তৈরি করবেন।
কেজরিওয়াল সহ অন্যান্য নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারত শাখার চেয়ার অব বোর্ড আকার প্যাটেল বলেন, '(গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলো) ভারত কর্তৃপক্ষের মরিয়া অবস্থার পরিচায়ক এবং এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের উদাহরণ।'
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, 'আমরা যা দেখছি, তা হল সরকার ধারাবাহিকভাবে আইন ও কেন্দ্রের আর্থিক সংস্থাগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের ক্ষমতাকে সুসংহত করছে। এ ক্ষেত্রে মানুষ ও তাদের অধিকারকে ধর্তব্যেই নেওয়া হচ্ছে না।'
২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিবিআই ও ইডির দায়ের করা মামলার ৯৫ শতাংশই বিরোধীদলের রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়। এর আগে কংগ্রেসের সরকারের আমলের (২০০৪-২০১৪) তুলনায় এই হার সিবিআই ও ইডির ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৬০ শতাংশ পয়েন্ট ও ৫৪ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে।
'রাষ্টের সব সংস্থা নিয়ম মেনে চলবে এবং মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে, এটাই প্রত্যাশা। যার মধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগও অন্তর্ভুক্ত। এতে নিশ্চিত হবে ভারতের জনগণ ন্যায্য ও পূর্ণাঙ্গভাবে নির্বাচনের আগে, চলাকালীন সময় ও পরেও তাদের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চা অব্যাহত রাখতে পারছে', যোগ করেন প্যাটেল।
কেজরিওয়ালের যত অর্জন
কেজরিওয়ালের দলের যাত্রা শুরু হয় দুর্নীতি দমনের অঙ্গীকারের মাধ্যমে। সক্রিয় রাজনীতিতে আসার পর বেশ কিছু বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। তবে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে।
শিক্ষা খাতে অর্জন
কেজরিওয়াল দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছেন 'শিক্ষা প্রথমে' স্লোগানের মাধ্যমে। এএপি সরকারি স্কুলের কাজকর্মে স্থানীয় সমাজকে বড় আকারে যুক্ত করেছে। শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের নিয়মিত বৈঠক হয়।
শিক্ষা খাতে সংস্কারের দ্বিতীয় দফায় নজর দেওয়া হয় স্কুল ভবনগুলোতে। এই উপমহাদেশের বেশিরভাগ সরকারি স্কুলই বেশ দায়সারা ভাবে নির্মাণ করা হয়। এএপি এ বিষয়টি নিরসনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
পরবর্তীতে স্কুলে প্রতি বছর বেতন বাড়ানো, শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা শর্তে ঋণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও পেশাগত উন্নয়নের উদ্যোগও নিয়েছে দিল্লি সরকার। জোর দেওয়া হয়েছে গুণগত শিক্ষার ওপর।
এসব সংস্কারের ফলে আইনপ্রণেতা ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সন্তানরাও এখন বেসরকারি স্কুল ছেড়ে 'উন্নত' সরকারি স্কুলে পড়ছে।
উল্লেখ্য, দিল্লির সরকারি স্কুল ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার মূল কারিগর হিসেবে পরিচিত দিল্লির উপ-প্রধানমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও কারাবন্দী আছেন তিনি।
স্বাস্থ্য খাতে অর্জন
শিক্ষার মতো স্বাস্থ্যব্যবস্থায়ও ঢেলে সাজিয়েছেন কেজরিওয়াল। এ খাতে সংস্কারের কেন্দ্রে আছে 'কমিউনিটি ক্লিনিক'। এ রকম প্রতিটি ক্লিনিকে একজন চিকিৎসক, একজন ধাত্রী (যিনি একইসঙ্গে নার্সের ভূমিকা পালন করেন), একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন ল্যাব সহকারী রাখা হয়। কিছু ক্লিনিক আধ-বেলা, আর কিছু ক্লিনিক রাতেও খোলা থাকে।
এই ক্লিনিকগুলোতে কয়েক ডজন পরীক্ষারও ব্যবস্থা আছে। ওষুধ ও অন্যান্য সেবা বিনামূল্যেই দেওয়া হয়।
দরিদ্ররা আগে এ ধরনের রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সুবিধা কমই পেতেন।
জ্বালানি খাতে অর্জন
জ্বালানি খাতেও অবিশ্বাস্য অর্জন কেজরিওয়ালের। দিল্লি ও পাঞ্জাবের মতো জনবহুল শহরে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তিনি। ভারতের গণমাধ্যম মিন্টের এক প্রতিবেদন মতে, দিল্লি সরকার জানুয়ারিতে একটি নতুন সৌর বিদ্যুৎ নীতিমালা প্রণয়ন করে, যেখানে বলা হয়েছে, কোনো ভোক্তা তাদের ছাদে সৌর প্যানেল বসালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পাবেন।
২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে এবং ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেন দিল্লির বাসিন্দারা। ব্যবহার এর চেয়ে বেশি হলে পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
গত ২৯ জানুয়ারি কেজরিওয়াল বলেন, 'ছাদে সৌর প্যানেল বসালেই বিদ্যুৎ বিল শূন্য হয়ে যাবে।'
রাজ্যের জ্বালানিমন্ত্রী হরভজন সিং ইটিও জানান, ২০২৩ সালে ৯০ শতাংশ ব্যক্তি পর্যায়ের ভোক্তাদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিয়েছে এএপি। প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পান পাঞ্জাবের বাসিন্দারা।
'আম আদমি' থেকে শহীদ
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অসিম আলি জানান, কেজরিওয়ালকে হেনস্থা করার মাধ্যমে মোদি সরকার নিজেদেরকে কর্তৃত্বপরায়ণ ও অহংকারী হিসেবে উপস্থাপনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর পাশাপাশি, যেসব ভোটার বিজেপি ও এএপি, উভয়ের প্রতিই সহানুভূতিশীল ছিলেন, তাদের সহানুভূতি এএপির দিকে চলে আসতে পারে।
তিনি আরও জানান, কোনো কোনো ভারতীয় কংগ্রেসকে এতোই ঘৃণা করে যে তারা সাধারণত এই দুই দলের এক দলকে ভোট দেয়। এবার তারা কেজরিওয়ালের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ভোটটি তাকেই দিতে পারে।
'কেজরিওয়াল শহীদের মর্যাদা পেতে পারেন এবং এটাই বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি', যোগ করেন তিনি।
প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন, 'এর ফলে কেজরিওয়াল মানুষের সহানুভূতি পাবেন বলে মনে হয়। তিনি নিজেও সম্ভবত এটাই চাইছিলেন। সেজন্য বারবার ডাকা সত্ত্বেও তিনি ইডির অফিসে যাননি।'
মোদির জন্য হুমকি
বিশ্লেষকদের পূর্বাভাষ, আগামী নির্বাচনেও খুব সহজেই জিতে টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদি। অন্যান্য দলগুলো এ ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে।
কাগজে কলমে দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল হলেও কংগ্রেসের জনপ্রিয়টা ভাটার দিকে। দলের নেতা রাহুল গান্ধী বেশ কয়েক ধরনের প্রচারণা চালিয়েও সুবিধা করতে পারেননি। এক পর্যায়ে কৌশলগত ভুলে লোকসভায় নিজের সদস্যপদ হারাতে বসেছিলেন ঐতিহ্যবাহী গান্ধী পরিবারের এই সদস্য।
তবে মূলত আঞ্চলিক দল হিসেবে পরিচিত হলেও ধীরে ধীরে কেজরিওয়ালের এএপির প্রভাব ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
বিশ্লেষকদের মত, মূলত কাজের মাধ্যমেই এএপি তথা কেজরিওয়াল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে দলটির অর্জন চোখে পড়ার মতোই।
ইতোমধ্যে দিল্লি ও পাঞ্জাবে সরকার গঠন করেছে এএপি। এবারের নির্বাচনে তাদের চোখ হরিয়ানা ও গুজরাটের দিকেও। মূলত এই চার রাজ্যেই প্রার্থী দিয়েছে দলটি।
দিল্লি ও পাঞ্জাবে যেসব সংস্কারমূলক কাজ করেছে, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মানুষও সে রকম পরিবর্তন চাইছে। মোদির ওপর বাড়ছে চাপ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, নরেন্দ্র মোদির জন্য একমাত্র হুমকি আম আদমি দলের 'সাধারণ মানুষ' কেজরিওয়াল। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বীকে দমন করতে না পেরে কী গ্রেপ্তার-জুলুমের পথ বেছে নিলেন কী না মোদি, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
Comments