বকেয়া চাওয়ায় কারখানা বন্ধ, কলকারখানা অধিদপ্তরের সামনে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

টঙ্গীর সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। ছবি: স্টার

টঙ্গীতে বকেয়া বেতন চাওয়ায় মালিক-পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও কারখানা খোলার দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা গাজীপুর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করছেন।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের হাজারো শ্রমিককে সেখানে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

কারখানা শ্রমিকরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কারখানা ছুটির আগে আমাদের বেতন পরিশোধ নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়। এসময় কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে  মালিকপক্ষ ও পুলিশ আমাদের পিটিয়ে কারখানা থেকে বের করে দেয়। আজ সকালে কারখানায় গিয়ে দেখতে পাই কারখানা বন্ধের নোটিশ টাঙানো রয়েছে। পরে আমরা সবাই কলকারখানা অধিদপ্তরের সামনে চলে এসেছি। এখনো কলকারখানা অধিদপ্তরের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। আমরা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছি।

কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, আমাদের কেউ এক মাসের বকেয়া বেতন পাবে। কারো দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কারও কারও তিন মাসের বেতন বকেয়া। সামনে ঈদ আমাদের বেতন পরিশোধ না করলে চলার কোনো উপায় নেই। বাড়ির মালিক বাসা ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। সংসার খরচ রয়েছে।

সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে কেউ কল রিসিভ করেননি। তবে কারখানার সামনে বন্ধের নোটিশে লেখা আছে, 'গতকাল মঙ্গলবার একদল শ্রমিক কারখানার ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, ভাঙচুর করে, পুলিশের গায়ে হাত তোলে। এমন প্রতিকূল অবস্থায় প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সম্ভব না বলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।'

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সিজন্স কারখানা কর্তৃপক্ষ গতকাল কিছু টাকা পরিশোধ করলেও পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। এ নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক ও পুলিশের কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে শ্রমিকদের সাথে পুলিশের মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা বা মারধর করেনি।

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at tissue warehouse in Narayanganj

Upon receiving the information, 19 firefighting units from various stations rushed to the scene and are currently working to bring the blaze under control

21m ago