দুই প্রার্থীর একজন বয়স্ক ও মানসিকভাবে অসুস্থ, অপরজন আমি: বাইডেন

উইসকনসিন মিলওয়াকিতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাইডেন। ফাইল ছবি: এএফপি (১৩ মার্চ, ২০২৪)
উইসকনসিন মিলওয়াকিতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাইডেন। ফাইল ছবি: এএফপি (১৩ মার্চ, ২০২৪)

এক নৈশভোজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার নিজের বয়স নিয়ে ঠাট্টা করেন। এরপর তিনি সাবেক প্রেসিডেন্টের কড়া সমালোচনায় মেতে ওঠেন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা বাইডেন ওয়াশিংটনের গ্রিডআয়রন ক্লাবে আয়োজিত বার্ষিক গণমাধ্যম নৈশভোজে মন্তব্য করেন, 'এক প্রার্থী বয়স্ক এবং তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো মানসিক সুস্থতা নেই।'

'অপর প্রার্থী হলাম আমি', যোগ করেন বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের জন্য আয়োজিত এই বার্ষিক 'সাদা টাই' নৈশভোজে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো বক্তব্য রাখেন জো বাইডেন। ২০১৮ সালে একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন ট্রাম্প।

পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনমত জরিপে পিছিয়ে আছেন বাইডেন। বেশিরভাগ মানুষ তার বয়স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

৮১ বছর বয়সী বাইডেন এ বিষয়টির মোকাবিলায় তার বক্তব্যে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের 'ভুল করে বলে ফেলা' নানা কথা উল্লেখ করছেন।

বাইডেন ট্রাম্প প্রসঙ্গে বলেন, ডেমোক্র্যাট পার্টির নির্বাচনী প্রচারণার উল্লেখযোগ্য অংশ হবে যেভাবে করোনাভাইরাস মহামারির পর দলটি দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর কাজে সহায়তা করেছে এবং এ ক্ষেত্রে 'মার্কিন জনগণকে ইনজেকশনের মাধ্যমে তাদের দেহে (জীবাণুনাশক) ব্লিচ প্রবেশ করাতে বলা হয়নি।'

করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন সময় ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সে সময় তিনি এক শীর্ষ মেডিকেল উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসা করেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে জীবাণুনাশক ব্লিচ প্রবেশ করালে তারা সুস্থ হয়ে উঠবেন কী না।

মিলওয়াকিতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাইডেন। ছবি: রয়টার্স
মিলওয়াকিতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

বাইডেন বলেন, 'দেখুন, এগুলো রসিকতা হলে আমি খুশি হতাম। কিন্তু বিষয়টি এরকম নয়।'

'কার্যত গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হামলা এসেছে। পুতিন ইউরোপ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমার পূর্বসূরি তার কাছে মাথা নত করে বলেন, "আপনার যা খুশি আপনি তাই করুন", যোগ করেন বাইডেন।

বাইডেন আরও জানান, ট্রাম্পের ২০২০ সালে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মিথ্যা দাবি এবং ২০২১ সালে ট্রাম্প-সমর্থক বিক্ষোভকারীদের ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় এটাই প্রমাণ হয় যে 'আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) গণতন্ত্রের শিরা-উপশিরায় বিষ বইছে।'

গ্রিডআয়রন ডিনার নামে পরিচিত এই অনুষ্ঠান বন্ধ দরজার পেছনে আয়োজিত হয় এবং এখানে কেউ ছবি তোলার অনুমতি পান না। এ অনুষ্ঠানে আগত সমাজের শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা সাধারণত হালকা মেজাজে থাকেন এবং নিজেদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করেন।

২০১৮ সালে এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে মজা করেন এবং উত্তর কোরিয়া (কিম জং উন) ও তার নিজের নেতৃত্বের ধরনের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়ার কথা জানান।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago