রাহাত মিনহাজ, সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জেন-জি ও জেন-আলফা প্রজন্মের। তরুণ, সতেজ, সক্রিয় ও সংবেদনশীল এই শক্তিকে ‘মস্তিষ্ক পচন’ থেকে রক্ষা করতে হবে।
আমরা কি ধীরে ধীরে সেই অগণতান্ত্রিক, কর্তৃত্বপরায়ণ কাঠামোর দিকেই আবার যাত্রা শুরু করেছি? চলমান বিধি-নিষেধ তুলে নিন। তবে হ্যাঁ, ক্যাম্পাসে মাইক ব্যবহার বন্ধসহ গাড়ির হর্ন নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন দ্রুত...
আমাদের সড়কে যে মৃত্যুঝুঁকি আমরা নিজেরা তৈরি করেছি, সেই ফাঁদে যে কেউ পড়তে পারেন যেকোনো দিন।
শেখ হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিহ্ন মুছে ফেলা নিশ্চিতভাবেই হতাশার ও হঠকারী একটি পদক্ষেপ।
২০১৮ সালে ঢুঁ মেরেছিলাম বাংলাদেশ সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা দপ্তরের ওয়েবসাইটে। সেখানে পেয়েছিলাম নিবন্ধনকৃত পত্র-পত্রিকার তালিকা ও সার্কুলেশন সংক্রান্ত তথ্য, যা ছিল ডাহা মিথ্যা, সত্যের অপলাপ।
ইতিহাসে বহু বিতর্কিত, বহুল চর্চিত ও অলিখিত এই অধ্যায়ের অজানা তথ্য জানতে বইটি হাতে নেওয়া যেতে পারে।
জনগণের টাকায় নির্মিত এসব প্রকল্পে বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। প্রকল্পের সঙ্গে শেখ পরিবারের নাম যুক্ত থাকায় কেউ প্রশ্ন তোলার সাহস পাননি।
কী অদ্ভুত, অসংবেদনশীল, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত!
২৮ আগস্ট সকালে এমনই এক মৃত্যু নেটিজেনদের আচ্ছন্ন করে।
কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারগুলো বিরোধীপক্ষের কণ্ঠরোধ করতে এই পন্থা অবলম্বন করে থাকে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী মত দমনে এই ঘৃণ্য পথ বেছে নেয় শেখ হাসিনার সরকার।
এই আন্দোলনে আলোকবর্তিকা হাতে যেসব শিক্ষকরা যুক্ত হয়েছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।
কেন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এত দুর্বল হবে? তাহলে কি রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এত বছর এগোনোর বদলে শুধুই পিছিয়েছি?
‘এই নির্বিচার হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগের ভাবাদর্শ প্রচারকারীদের শুধু অসাড়ই করে দেয়নি, অনেকটা বিপদেও ফেলে দিয়েছে। শেখ হাসিনার এমন পলায়নে তারা হতভম্ব, বিস্মিত।’
সুশাসন থেকে বঞ্চিত, পদে পদে বৈষম্যের শিকার, দুর্নীতিপিড়ীত, দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ঠ মানুষকে আর রাজাকার তকমা দিয়ে দানবীকরণ করে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।
বর্তমান বিরোধী দল বিএনপি যেমন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কাফফারা এখনো দিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি এই ছাত্র নির্যাতন ও হত্যার জের হয়তো কাউকে না কাউকে দীর্ঘদিন বহন করতে হবে।
কারণে-অকারণে এই অন্ধ আনুগত্য, স্তুতি-স্তাবকতা আর প্রতিবাদহীন থাকার কারণে শিক্ষকদের আজকের অপাঙ্ক্তেয় হয়ে পড়ার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা ভেবে দেখা যেতে পারে। আমার ধারণা, এর সংযোগ আছে। শতভাগ আছে।...
২০২৪ সালে এই ক্ষোভ ধ্বংসাত্মক রূপ নেওয়ার আগেই একটি কমিশন গঠন করে কোটা-ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি।