ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ২০০০ রানের কীর্তি গড়লেন সৌম্য
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার লো ফুল টস বলে একস্ট্রা কভার দিয়ে চার মারলেন সৌম্য সরকার। এতে শাহরিয়ার নাফিস ও লিটন দাসকে ছাড়িয়ে নতুন কীর্তি গড়লেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম ২ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন তিনি।
শুক্রবার তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিকরা। ওপেনিংয়ে নেমে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৮ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন সৌম্য। ৬৬ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১১ চার ও ১ ছক্কা। এই ইনিংসের পথে পূর্ণ হয়ে যায় তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২ হাজার রান।
মাইলফলক থেকে ৫৬ রান দূরে থেকে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলতে নামেন সৌম্য। ২০তম ওভারে লঙ্কান লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গাকে মারা চারে নাফিস ও লিটনকে পেছনে ফেলেন তিনি। ওয়ানডেতে ২ হাজার রানের জন্য তার লাগল ৬৪ ইনিংস। এই সংস্করণে তার চেয়ে দ্রুত এই কীর্তি গড়তে পারেননি আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটার। এতদিন যৌথভাবে শীর্ষে থাকা নাফিস ও লিটনের লেগেছিল সমান ৬৫ ইনিংস।
২০১১ সালে এই মাঠেই সাবেক ক্রিকেটার নাফিস নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন। সেই কীর্তি টিকেছিল এক যুগ। গত বছর লিটন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নাফিসের পাশে বসেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এর এক বছরের মধ্যেই তাদেরকে টপকে গেলেন সৌম্য।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ২ হাজার রান পূর্ণ করা দশম ক্রিকেটার সৌম্য। ২০১৪ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত খেলা ৬৮ ম্যাচের ৬৪ ইনিংসে তার রান ২০১২। তার গড় ৩৩.৫৩ ও স্ট্রাইক রেট ৯৭.৪৮। তিনটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ১২টি ফিফটি করেছেন ৩১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
৫২ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছানো সৌম্যকে বিদায় করেন হাসারাঙ্গাই। লেংথ ডেলিভারিতে তার রিভার্স সুইপে বল সীমানার বাইরে আছড়ে পড়বে বলেই মনে হচ্ছিল এক পর্যায়ে। তবে দিলশান মাদুশঙ্কার চিন্তা ছিল ভিন্ন। অনেকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনি দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে।
সৌম্যের অর্জনের দিনে ওপেনিং জুটিতে তার সঙ্গী লিটন ফের ব্যর্থ হন। এই সিরিজে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি আউট হন শূন্য রানে। আগের ওয়ানডেতে প্রথম বলেই বিদায় নিয়েছিলেন এই ডানহাতি, এদিন খেলতে পারেন ৩ বল। ব্যাট হাতে বাজে সময় পার করতে থাকা লিটনের গত বছরের জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত খেলা ২৭ ওয়ানডেতে এটি সপ্তম ডাক।
Comments