রাজশাহীতে আ. লীগের অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে

শনিবার রাজশাহী মহানগরীতে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারাকে সংবর্ধনা দেয় আওয়ামী লীগের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা সভায় অন্তর্কোন্দল প্রকাশ পেয়েছে। গতকাল শনিবার রাজশাহী মহানগরীতে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারাকে সংবর্ধনা দেয় আওয়ামী লীগের একাংশ।

নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও নেতারা তাদের বক্তব্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পরাজিত করতে গিয়ে নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

দলের নেতারা জানান, নির্বাচনী লড়াই অনেক আগে শেষ হয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব দীর্ঘায়ত হয়েছে।
 
রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলা হলেও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান।
 
এ ছাড়া, রাজশাহীর দুজন সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশা ও মো. আসাদুজ্জামান এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার অনুপস্থিত ছিলেন।
 
অপরদিকে, সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ইকবাল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। 

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম সভায় ফোনে অংশ নেন। 

ওমর ফারুক চৌধুরী তার বক্তব্যে রাজশাহী আওয়ামী লীগকে অন্যায়মুক্ত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া দলের অন্য কোনো নেতাকে আমরা সহ্য করব না।'
 
প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, 'আমার প্রতিদ্বন্দ্বী (নির্বাচনে) অপরিচিত ছিল। তারপরও তিনি বিপুল ভোট পেয়েছেন তার অর্থ ও পেছনে রাজনৈতিক শক্তির কারণে।'
  
সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারকে তাচ্ছিল্য করেন। তিনি বলেন, 'একজন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কীভাবে নৌকার বিপরীতে ভোট দিতে পারেন?'
 
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী সভায় ছিলেন না।' 

লিটন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র। তিনি বলেন, 'দলীয় শত্রুতা দেখানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী কাউকে প্রতিমন্ত্রী করেননি।'
 
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার জানান, নির্বাচনটি এমনই ছিল যে, দলীয় হাইকমান্ডের সুপারিশে তিনি দলের বিরুদ্ধে গিয়েছেন।
 
সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের তাচ্ছিল্যের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি সন্ত্রাসী ভাষার কী জবাব দেবো।'
 
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সভার বিষয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।'

'সভার আয়োজক হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করা সঠিক হয়নি' মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'তবে এ সভা আয়োজনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা দল বিবেচনা করছে না।' 

Comments

The Daily Star  | English

Tajia procession marks holy Ashura in Dhaka amid tight security

Crowds began gathering at the site from the early hours, with many attending alongside their families and children

25m ago