রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান একটু বাড়াবাড়ি: মালিক সমিতি

রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান একটু বাড়াবাড়ি: মালিক সমিতি
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে রোস্তরাঁয় অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হওয়ার পরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযানে নেমেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। এটিকে 'একটু বাড়াবাড়ি' বলে মনে করছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, 'রেস্তোরাঁ খাতে অনেকগুলো কর্তৃপক্ষ-সংস্থা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পৌরসভা-সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, সিভিল সার্জন অফিস, সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর।

'আইন-শৃঙ্খলা কর্মে নিয়োজিত বাহিনীগুলো—আনসার, পুলিশ ও এলিট ফোর্স র্যাব বাহিনীও তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। এটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষই গঠন করে দিয়েছেন; বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে তাদের কাজটি করতে দেবেন দয়া করে,' বলেন তিনি।

ইমরান আরও অভিযোগ করেন, 'যেসব দোকানে বেচাকেনা ভালো, অন্যদের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সেসব রেস্তোরাঁগুলো বেছে বেছে জরিমানা ও মামলা করা হয়ে থাকে তুচ্ছ-সামান্য কোনো কারণকে কেন্দ্র করে। অনিরাপদ খাদ্য যেখানে পরিবেশন করা হচ্ছে, সেখানে জরিমানা করা হচ্ছে না। এ এক আজব সিস্টেম।'

তিনি বলেন, 'দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে হোটেল রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে কেউ মারা গেছে বা অসুস্থ হয়ে চার থেকে ছয় মাস হাসপাতালে ভর্তি আছে এ রকম কোনো রেকর্ড নেই।'

জরিমানার কারণে নিরাপদ খাবার বাস্তবায়ন কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত হচ্ছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশে জন্ম হওয়ায় আক্ষেপ করে তিনি আরও বলেন, 'আমাদের ভুলে হয়েছে আমরা কেন উদ্যোক্তা হয়েছি। এত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ভুল হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago