পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী ছিল—বাংলাদেশের মানুষ সেই সত্য জানতে চায়: মঈন খান

‘আমরা আজও জানি না এই ঘটনার পেছনের ইতিহাস কী। আমরা সেই শোক বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি।’
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী ছিল—বাংলাদেশের মানুষ সেই সত্য জানতে চায়: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দ্রুততম সময়ে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে দায়ের মামলা নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, এই ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, এই ঘটনার যবনিকার পেছনে কী ছিল—আজকে বাংলাদেশের মানুষ সেই সত্যি জানতে চায়।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, 'আজকে থেকে ১৫ বছর আগে বিডিআরের যে শোকাবহ ঘটনা ঘটেছিল, সেই ক্ষত দিয়ে আজও বাংলাদেশের মানুষের বুকের রক্ত ঝরে পড়ছে। আমরা আজও জানি না এই ঘটনার পেছনের ইতিহাস কী। আমরা সেই শোক বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি।'

তিনি বলেন, 'ইতিহাসের পাতায় পেছনে ফিরে গিয়ে বলতে হয়, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ পর্যন্ত এমন কোনো একটি স্থানে এমন কোনো যুদ্ধ হয়নি, যেখানে একসঙ্গে ৫৭ জন অফিসার প্রাণ দিয়েছেন।'

মঈন খান আরও বলেন, 'আজকে সেই কথাটি আমাদের পুনরায় বলতে হয় যে, এই ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, এই ঘটনার যবনিকার পেছনে কী ছিল—আজকে বাংলাদেশের মানুষ সেই সত্যি জানতে চায়।'

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে মামলার বিচারে বিলম্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'একটি কথা আছে আমাদের বাংলা ভাষায়, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। ইংরেজি ভাষায় একটি কথা আছে, যদি বিচার বিলম্বে হয়, তাহলে সেই বিচারের কোনো মূল্য থাকে না।

'সেই বিচার প্রক্রিয়া এখনো ঝুলে আছে। কেন ঝুলে আছে? কেন সেই অভিযোগে যাদের কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে, আজকে পর্যন্ত কেন তারা বিনা বিচারে কারাবাস করছে? একটি জাতির ইতিহাসে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা—কোন জাতির ইতিহাসে কখন ঘটেছে আমাদের জানা নেই,' যোগ করেন তিনি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, 'আজকে শুধু একটি কথাই বলবো, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের মাধ্যমে, আইনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার ফিরে পায়। আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি।'

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিএনপির ইন্ধন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান—এ ব্যাপারে আপনার মত কী, গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ব্যক্তি পর্যায়ে কোনো কথা বলতে চাই না। বিচারকার্যে ইন্টারফেয়ারেন্স যুক্তিযুক্ত নয়। যে বিচারাধীন বিষয় আছে, আমাদের যারা বিচারক রয়েছেন, তারা তাদের নীতিতে অবিচল থেকে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে এই বিষয়ের অতি দ্রুত সুরাহা করবেন, আজকে ১৫ বছর পরে আমরা সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago