বিএনপি আবারও বাংলাদেশে গণতন্ত্র-সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে: নজরুল ইসলাম খান
গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন অবশ্যই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর গোপীবাগে কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'আমরা পরিবর্তন চাই এবং বিশ্বাস করি এই পরিবর্তন অবিসম্ভাবী, অবশ্যই হবে।'
'রাজনৈতিক কর্মসূচি বিভিন্ন সময়ের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের হয়। আমরা অনেক আন্দোলনে বিজয়ী হয়েছি, স্বৈরাচারী এরশাদ পতনের আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হয়েছি, ১/১১ সরকার জরুরি অবস্থার মধ্যে নির্বাচন করতে চেয়েছিল, আমাদের বাধার মুখে পারে নাই। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। এই বিএনপি বাকশালের (একদলীয় শাসনব্যবস্থা) গোরস্তানের ওপর বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, এই বিএনপি সামরিক স্বৈরশাসনের অবসানে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। কাজেই এই বিএনপি আগামী দিনে আবারও বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে।'
সরকার পরিবর্তনের একদফার যুগপৎ আন্দোলন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'আমরা যুগপৎ আন্দোলন করছি, সেই যুগপৎ আন্দোলন এখনো চলছে। তারা আমাদেরকে অভিযুক্ত করে যে, আমরা আন্দোলনে আর পারতেছি না… কয় বছর হয়েছে? বিএনপি ক্ষমতার বাইরে ১৭ বছর… আরও ১০ বছর আগের থেকে বলতেছে, ১২ বছর আগের থেকে বলতেছে যে, বিএনপি কোমর ভাঙা, বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না… তারা (আওয়ামী লীগ) ২১ বছর ক্ষমতায় এসেছে... তাদের কি কোমর ভাঙা ছিল না সোজা ছিল?'
'যাদের ২১ বছর লাগে ক্ষমতায় আসতে, তাদের এই অভিযোগ করার কোনো অধিকার নাই যে, বিএনপি পারে না। ২২ বছরের সময়ে যেন বলে... তার আগে না। আমরা বলব তাদেরকে যেকোনোভাবেই হোক ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন, আপনারা সুশাসন দেন… এভাবে কোনো বোন, এভাবে কোনো ভাই তারা যেন আর্তনাদ না করে। কেউ অপরাধ করলে নিশ্চয় তার শাস্তি হবে।'
বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়নের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এটা কোনো দেশ... এজন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি? আপনি যেকোনো সময়ে না জানিয়ে কাউকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন... যেখানে সেখানে ফেলে রাখবেন, চিকিৎসা দেবেন না, অসুস্থ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে, এটা কোনো রাষ্ট্রের নীতি হতে পারে না। একটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে... রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা দায়িত্বে আছে, তাদের একটা কর্তব্য আছে। কোনো দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা হচ্ছে না।'
'অত্যাচার-নিপীড়ন এভাবে চলতে পারে না। যদি চলত, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হতো না। যদি অত্যাচারীরা চিরদিন অত্যাচার করতে পারত, তাহলে ফেরাউন-নমরুদের পতন হতো না, হিটলার-মুসোলিনির পতন হতো না। নিশ্চয়ই পতন হয়েছে এবং যারা মজলুম তাদের ওপর যে নিপীড়ন করা হয়েছে, এর বিচার হবে। আমরা তাদের রক্তের বিনিময়ে, তাদের প্রাণের বিনিময়ে এদেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করব। আমরা নিজেরাও চেষ্টা করব এবং যারা মজলুম কষ্টে আছেন, তাদের ফরিয়াদ কখনো বৃথা যাবে না।'
Comments