চট্টগ্রামে মদ আটক নিয়ে ‘লুকোচুরি’, গ্রেপ্তার ৪

চট্টগ্রামে মদ আটক নিয়ে ‘লুকোচুরি’, গ্রেপ্তার ৪
চট্টগ্রামের মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ আটককৃত ১০১ বোতল বিদেশি মদ | ছবি: সংগৃহীত

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের খুলশী থেকে ১০১ বোতল বিদেশি মদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে নগর পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ। মদ পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পাঁচ সিটের জিপ জব্দ করে পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে, অভিযানের পরপরই মদ ও আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে 'প্রভাবশালী একটি পক্ষ' চাপ দিতে শুরু করে।

মদসহ গ্রেপ্তার আসামিদের 'জিজ্ঞাসাবাদ' করতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) ডিবি কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিছুক ডিবি কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আসামিদের ধরার পর একটি প্রভাবশালী মহল থেকে নানা চাপ আসতে থাকে। আমাদের ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার নিজে এসে আসামিদের সঙ্গে কথা বলেছেন।'

শেষ পর্যন্ত চার জনকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। তারা হলেন—কামাল হোসেন টিটু (৩৬), মো. ইলিয়াস (৪৬), মো. নাসির (৪৫) ও নওশাদ হোসেন (৬২)। গতকাল বিকেলে তাদের আটক করা হয়।

এদিন বিকেলে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) ইমাম বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, মাদক পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলশী থানাধীন জালালাবাদ আবাসিক এলাকার প্রবেশ মুখে তল্লাশি করা হয়। একটি কালো রঙের হোন্ডা হার্ড জিপ গাড়িকে সংকেত দেয় ডিবি উত্তরের সদস্যরা। সে সময় গাড়িতে কামাল ও ইলিয়াস ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা গাড়িতে মদ পাচারের কথা স্বীকার করেন। গাড়ি তল্লাশি করে বিভিন্ন ব্রান্ডের মদের ৯২টি বোতল পাওয়া হয়।

আরও উল্লেখ করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, রাকিব নামে এক ব্যক্তির  কথা অনুসারে তারা খুলশী থানার হাবিব লেনের হোসেনস ভবনের মালিক নওশাদের কাছে এই মদ বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যাচ্ছিলেন।

তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ওই বাসার কেয়ারটেকার নাসির ও পরে নওশাদকে আটক করা হয়। আটকের সময় তাদের বাড়ির পার্কিং থেকে আরও নয় বোতল মদ জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে ডিবি উত্তর বিভাগের উপকমিশনার সাদিরা খাতুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানে চাপের কিছু নেই। আমরা মামলা দিয়েছি, আইন অনুযায়ী যা হওয়ার তাই হয়েছে।'

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) ডিবি কার্যালয়ে সশরীরে আসার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, 'স্যার এমনি কাজে এসেছেন ভিজিটে, অন্য কিছু নয়। মামলার তদন্ত হলে এর উৎস ও গন্তব্য বের হবে।'

'আমি ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম দুপুরে। আমি নিজে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এখানে চাপের কিছুই নেই। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে,' ডেইলি স্টারকে বলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান মিয়া।

তবে মামলায় সেই রাকিবকে আসামি করা হয়নি। সূত্র মতে, জব্দকৃত গাড়িটি ঢাকার মিরপুর বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) থেকে নিবন্ধিত। গাড়িটির মালিক মো. রফিকুল ইসলাম। তবে রফিকুল ইসলামের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

10h ago