‘গরম আসলে পাম তেল সয়াবিন তেল বলে বিক্রি হয়’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, 'গরম আসলে পাম তেলকে সয়াবিন তেল বলে বিক্রি করা হয়। নিয়ম না থাকলেও বাজারে খোলা ড্রামে তেল বিক্রি হচ্ছে। এসব ড্রামে কোন কোম্পানির তেল থাকে এবং এসব তেল পাম না সয়াবিন তা দেখা বোঝা যায় না।'
আজ বুধবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'খোলা তেল বিক্রির কারণে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছেন। আমি আজ তেলের নমুনা নেবো। ভিটামিন-এ না থাকলে ব্যবস্থা নেবো, সোজা জেলে পাঠাবো।'
তিনি আরও বলেন, 'সারাবিশ্ব দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিপর্যস্ত। চিনি, ডাল, তেলের মতো আমদানি নির্ভর পণ্যগুলোতে খরচ ৩০ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশে অনেক পণ্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অজুহাত বা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। ব্যবসা পবিত্র জিনিস। ওজনে কম, ভেজাল দেওয়া, দাম বাড়িয়ে নেওয়া—এসব করা যাবে না।'
'নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাহাড়তলীতে চালের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তখন ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখানো হয়েছিল। এভাবে অজুহাত দিবেন না। আপনারা বেশি দামে পণ্য কিনলে সেটার পাকা রশিদ রাখবেন। তখন আমাদের আর কিছু বলার থাকবে না,' যোগ করেন তিনি।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযানের নামে হয়রানি বন্ধ, লাইসেন্স সহজীকরণ, ব্যবসায়ী কী পরিমাণ খাদ্য মজুদ করতে পারবে তার সীমা নির্ধারণ করার অনুরোধ জানান।
পাহাড়তলী ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. তাহের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তারা ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments