সীমান্ত অরক্ষিত রাখা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ ও জনগণের জন্য উদ্বেগজনক: বাম জোট

বাম জোট
ছবি: সংগৃহীত

অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান ও শ্বেতপত্র প্রকাশ, পাচারের টাকা ও খেলাপি ঋণ আদায়, দায়ীদের শাস্তি, আর্থিক অবস্থাপনা, অনিয়ম দূর করাসহ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবিতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ, বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে মিছিল ও ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

এসব দাবিতে দেশের বিভাগীয় সদরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এবং সারাদেশের জেলা সদরে বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির আব্দুল আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় নিত্যপণ্যের ঊর্ধগতিতে ও বিভিন্ন এলাকায় সৌন্দর্যবর্ধনের নামে বিকল্প সংস্থান ছাড়া রিকশা ও হকার উচ্ছেদ, আর্থিক সংকটের কথা বলে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতি, চাকরি ছাড়তে বাধ্য করার পরিবেশ তৈরির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

নেতারা বলেন, 'সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে, আর সরকার নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি অনেক পদ খালি রয়েছে, অথচ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। এ সময় সরকার কাজ দিতে না পারলেও স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারীদের উচ্ছেদ করে দেশে নতুন করে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, যার দায় সরকারকেই নিতে হবে।'

সভায় মিয়ানমারের সংকটে দেশের মধ্যে গোলাবারুদ এসে মানুষের নিহত হওয়া, সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের মানুষ এমনকি অস্ত্রসহ মানুষের প্রবেশে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, 'এভাবে সীমান্ত অরক্ষিত রাখা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ ও দেশের জনগণের জন্য উদ্বেগজনক। সরকারের নতজানু নীতি এ অবস্থা সৃষ্টি করেছে।'

সভায় সীমান্তে কঠোর অবস্থান গ্রহণ এবং এ বিষয়ে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানানো হয়। সভায় এ অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ জনজীবনের সংকট দূর করতে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান হয়।

আগামী ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জেলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সফরের কর্মসূচি নেওয়া হয় সভায়।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

16m ago