রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে খেলার কথাই ছিল না ম্যাক্সওয়েলের!

ছবি: এএফপি

অ্যাডিলেডে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে রোহিত শর্মাকে স্পর্শ করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটিতে বিশ্রাম পাওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী ব্যাটারের। মা-বাবা মাঠে উপস্থিত থাকবেন বিধায় তাকে খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্টকে রাজী করান তিনি।

গতকাল রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবিয়ানদের ৩৪ রানে হারায় অজিরা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই স্বাগতিকদের সিরিজ নিশ্চিত করায় মুখ্য অবদান রাখেন ম্যাক্সওয়েল। চারে নেমে ১২০ রানের অপরাজিত বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। ৫৫ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ১২ চার ও ৮ ছক্কা। গ্যালারিতে থাকা মা জয় ম্যাক্সওয়েল ও বাবা নিল ম্যাক্সওয়েল উপভোগ করেন ছেলের চার-ছক্কার বৃষ্টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ম্যাক্সওয়েলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। সমান সংখ্যক শতরানের ইনিংস আছে কেবল ভারতের অধিনায়ক রোহিতের।

ম্যাচসেরা নৈপুণ্যের পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে বিগ শো খ্যাত তারকা জানান, তাকে বিশ্রাম দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে মা-বাবার মাঠে আসবেন বলে প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি ও ভারপ্রাপ্ত টি-টোয়েন্টি কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরির কাছে খেলতে চাওয়ার অনুরোধ রেখেছিলেন তিনি, 'আসলে আজ (গতকাল) রাতে আমার খেলার কথাই ছিল না। আমাকে বিশ্রাম দেওয়া হতো। তবে আমি তাদেরকে বোঝাতে পেরেছিলাম যে, এই ম্যাচটা খেলতে আমার আপত্তি নেই। কারণ আমার পরিবার এখানে থাকবে। পরে ভেবেছি, এটা কেমন হতো যদি আমার পরিবার অনেক কষ্ট করে এখানে আসত আর আমি বিশ্রামের থাকতাম!'

সঙ্গে একটি মজার ঘটনা শোনান ম্যাক্সওয়েল। ম্যাচের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাকি তার সেঞ্চুরি পাওয়ার অনুভূতি হয়েছিল, 'অ্যাডিলেডে আসার পরপরই আমি সতীর্থদের বলেছিলাম যে, আমাদের কেউ একজন আজ রাতে সেঞ্চুরি পেতে চলেছে। আর আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমার মনে হয়েছে, আমিই এটা পাচ্ছি। তারপরও আপনাকে সময় ও সুযোগ পেতে হবে। আর এবার সম্ভবত সবকিছু নিখুঁত ছিল।'

অ্যাডিলেডের উইকেট ছিল ব্যাটিংবান্ধব। প্রথম টি-টোয়েন্টির ভেন্যু হোবার্টের উইকেটও ছিল একই ধাঁচের। সেদিন অবশ্য অল্পতে সাজঘরে ফিরেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে উইন্ডিজের বোলিংকে কচুকাটা করার উপায় জেনে ফেলেছিলেন তিনি, 'হোবার্টে গত ম্যাচে আমি তাদের বোলিং আক্রমণ ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করেছি। এরপর আমার মনে হয়েছে, তারা কীভাবে বোলিং করছে তা আমি ধরতে পেরেছি। যদিও প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতিতে আগেরবার আউট হয়ে যাওয়ায় আমি হতাশ ছিলাম, যেখানে স্কয়ারের দিকের বাউন্ডারিসহ গোটা মাঠের সীমানাই বেশ ছোট এবং উইকেট দারুণ আচরণ করে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka sends diplomatic note to Delhi to send back Hasina: foreign adviser

The Ministry of Foreign Affairs has sent a diplomatic note to the Indian government to send back ousted former prime minister Sheikh Hasina to Dhaka.

5h ago