টেইলর-কোহলির পর ওয়ার্নারের তিন সংস্করণেই ‘সেঞ্চুরি’

ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারের। ১৫ বছর পর শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার। ফলে তিন সংস্করণের ক্রিকেটেই অন্তত ১০০ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঢুকে গেলেন তিনি।

শুক্রবার হোবার্টে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের 'সেঞ্চুরি' পূরণ হলো ৩৭ বছর বয়সী ওয়ার্নারের। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে শততম ওয়ানডে ও ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শততম টেস্ট খেলেছিলেন তিনি।

তিন সংস্করণেই কমপক্ষে ১০০ ম্যাচ খেলার কীর্তি এতদিন ছিল কেবল রস টেইলর ও বিরাট কোহলির। এবার সেই তালিকায় তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে যুক্ত হলেন অভিজ্ঞ ওয়ার্নার। সবার আগে এই নজির স্থাপন করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার টেইলর। তিনি ২০২০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে তিন সংস্করণেই ম্যাচের 'সেঞ্চুরি' স্পর্শ করেন। এরপর ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে টেইলরের পাশে বসেন ভারতের তারকা কোহলি।

আরও একটি তালিকায় ওয়ার্নার নাম ওঠালেন তৃতীয় হিসেবে। এই ম্যাচ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার কীর্তি গড়লেন তিনি। বাকি দুজন হলেন সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও বর্তমান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

মাইলফলকের দিনে হেসেছে ওয়ার্নারের ব্যাট। ওপেনিংয়ে নেমে ৩৬ বলে ৭০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। ১২ চারের সঙ্গে মারেন ১ ছক্কা। তার শুরুর ঝড়ে পাওয়া ভিত কাজে লাগিয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রান তুলেছে অজিরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

চমক জাগানিয়া হলেও সত্য যে মাইলফলকের ম্যাচে ওয়ার্নারের জ্বলে ওঠা নতুন ঘটনা নয়। বেঙ্গালুরুতে শততম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি এসেছিল তার ব্যাট থেকে। আর শততম টেস্টে মেলবোর্নে তিনি হাঁকিয়েছিল ডাবল সেঞ্চুরি।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

2h ago