ব্রুস-শহিদুলের নৈপুণ্যে তামিমদের ফের হারাল চট্টগ্রাম
বিপিএল অভিষেকে ব্যাট হাতে ঝড়ো ইনিংসে সুর বেঁধে দিলেন জশ ব্রাউন। সেই ভিতকে কাজে লাগিয়ে টম ব্রুস অপরাজিত ফিফটিতে দলকে দিলে লড়াইয়ের পুঁজি। এরপর শহিদুল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেন বল হাতে দেখালেন ঝলক। সব মিলিয়ে চলতি বিপিএলে দ্বিতীয়বারের মতো ফরচুন বরিশালকে হারাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ১৬ রানে জিতেছে শুভাগত হোমের দল। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা ৫ উইকেটে তোলে ১৪৫ রান। জবাবে ৮ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেননি তামিম ইকবালরা। বিপিএলের সিলেট পর্বে গত ২৭ জানুয়ারি মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেদিন বরিশালকে ১০ রানে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম।
সাত ম্যাচে পঞ্চম জয়ে আসরের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে গেছে চট্টগ্রাম। তাদের সমান ১০ পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে আছে রংপুর রাইডার্স। সমান ম্যাচে চতুর্থ হারের তেতো অভিজ্ঞতা পাওয়া বরিশালের অবস্থান পাঁচ নম্বরে।
দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ডানহাতি পেসার শহিদুল। চার ওভারে এক মেডেনসহ স্রেফ ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। বরিশাল অধিনায়ক তামিমকে বিদায় করার ওভারে কোনো রান দেননি তিনি। এরপর নিজের শেষ ওভারে তার শিকার আরও ২ উইকেট। এছাড়া, আল-আমিন ঝুলিতে ঢোকান আহমেদ শেহজাদ ও সৌম্য সরকারকে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তিন বলের মধ্যে আউট হন তারা।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ব্রাউন ২৩ বলে ৩৮ রান করেন ১ চার ও ৪ ছয়ের সাহায্যে। এরপর কিউই ব্যাটার ব্রুসের ব্যাট থেকে আসে হার না মানা ফিফটি। তিনি ৪০ বল মোকাবিলায় মারেন ৫ চার ও ২ ছক্কা। ফলে চট্টগ্রাম পায় প্রায় দেড়শ ছোঁয়া সংগ্রহ।
রান তাড়ায় শুরুতে ধাক্কা খাওয়া দলকে একাই টানেন তামিম। তবে চাহিদা অনুযায়ী চালিয়ে খেলতে পারেননি অভিজ্ঞ ওপেনার। ৪৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় তিনি করেন ৪৯ রান। শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২টি করে চার-ছক্কায় ১৮ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংসে কেবল হারের ব্যবধানই কমান। চলমান বিপিএলে এটি সাইফউদ্দিনের প্রথম ম্যাচ। বল হাতে তিনি চার ওভারে ২৪ রানে নেন ১ উইকেট।
মুশফিকুর রহিম, শোয়েব মালিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরেন দ্রুত। সৌম্য ও মেহেদী হাসান মিরাজ রানের খাতাই খুলতে ব্যর্থ হন। ফলে লক্ষ্য থেকে দূরে থামতে হয় বরিশালকে।
Comments