নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ না লেখায় চিকিৎসককে মারধর: অভিযুক্ত আ. লীগ নেতার জামিন

শরীয়তপুর
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব না করায় শরীয়তপুরে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। 

তবে মামলার ২ নম্বর আসামি জুলহাসের ভাগ্নে ওষুধ কোম্পানির কর্মী শহীদুল ইসলাম মৃধা জামিন পাননি।

শরীয়তপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেদায়েত উল্যাহ গতকাল রোববার দুপুরে এ আদেশ দেন।

শরীয়তপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এ ঘটনায় জুলহাসের ছেলে ডামুড্যা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তামজিদ মাহমুদ লিখন এখনো পলাতক আছেন। 

এর আগে, গত বুধবার রাতে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় সহকারী সার্জন নুসরাত তারিন তন্বীর ওপর হামলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই চিকিৎসকের স্বামী ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া। 

আহত ডা. নুসরাত বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন আছেন বলে তার ডা. মঞ্জুরুল ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'গতকাল মামলার প্রধান আসামি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তার ছোট ভাই  আইনজীবী কাজল আমাদের আইনজীবীকে অপমান করেছেন। তারা একজন আইনজীবীর গায়ে হাত তুলেছেন। নামে-বেনামে বিভিন্ন ফোন নম্বর থেকে আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামির লোকজন।'

এদিকে এ ঘটনায় স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন জুলহাস মাদবরের স্ত্রী ডামুড্যা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা খানম লাভলী। 

আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এবারও উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। তাই আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে আমার স্বামীকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ শহিদুল আমার কাছে ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ নিয়ে আসেন যে ডাক্তার দম্পতি তাকে মারধর করেছেন। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমি স্বামী জুলহাস মাদবরকে তাদের কাছে পাঠাই। তিনি গিয়ে ডা. নুসরাত ও তার স্বামীর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চান।'

'তখন ডাক্তার নুসরাত ও তার পরিবারের সবাই আমার স্বামীর ওপর অনেক জোর-জুলুম ও অত্যাচার করে,' বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী শামিমা ইসলাম বলেন, 'ডাক্তার নুসরাত আমার স্বামীর কাছে ওষুধ কোম্পানির পক্ষ থেকে তার স্বামীর জন্য একটি মোটরসাইকেল উপহার চেয়েছিলেন। এসব নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে ডাক্তার নুসরাতের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে ৩১ জানুয়ারি আমার স্বামীকে মারধর করেন। আর এখন উল্টো আমাদের ফাঁসানোর জন্য তারা বলছেন যে, আমার স্বামী তাদের মেরেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

10h ago