লক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজারে ভাই ভাই ভাই ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আবুল কাশেম জিহাদী চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
মারধরের শিকার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বশিকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাকিব ইমামকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাকে দেখতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া হাসপাতালে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা চলাকালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে প্রকাশ্যে রাকিবকে মারধর করা হয়।
আহত রাকিব ইমাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা আগামী ২৭ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনিও অংশ নেন। হঠাৎ সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা কাশেম জিহাদী উপস্থিত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
এ সময় কাশেমের অনুসারীরাও রাকিবকে মারধর করে এবং একপর্যায়ে তাকে ক্লাবের অডিটোরিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হয়।
রাকিব বলেন, 'কাশেম জিহাদি জামায়াতের সাবেক নেতা। তিনি আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাশেম জিহাদী রাকিবকে মারধর করেছে। আমরা সেখানে ছিলাম। পরে রাকিবকে সরিয়ে নিয়েছি। জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।'
আবুল কাশেম জিহাদী তার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাকিব ছাত্রলীগ করে না। বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে রাকিব যুবদলের এক নেতার ভোট করেছে। ছাত্রলীগের প্রস্তুতি সভাতে আমি ছিলাম। তবে কাউকে মারধর করিনি।'
যোগাযোগ করা হলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে রাকিব কাশেম জিহাদির বিপক্ষে কাজ করেছিলেন। সে ঘটনার জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।'
এ ঘটনায় রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান ওসি।
Comments