জাতীয় দলের তারকাদের ছন্দহীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন সাকিব

Shakib Al Hasan
ব্যাট হাতে হতাশ সাকিব আল হাসান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিপিএলে এবার যেন রান করতে ভুলে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাস। এই দুজন তো বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মূল দুই ভিত বলা যায়। প্রত্যাশিত রান না পাওয়াদের ভিড়ে আছেন আরও বেশ কয়েকজন। তবে বিপিএলে জাতীয় দলের তারকাদের এই ছন্দহীনতা নিয়ে একদম উদ্বিগ্ন নন সাকিব আল হাসান।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে গত বিপিএলেও সেরা পারফর্মার ছিলেন লিটন। এবার নেতৃত্ব পেয়ে ৫ ম্যাচ ব্যাট করে তার রান মোটে ৩৭, গড় স্রেফ ৭.৪০। ৭ ম্যাচ খেলে ফেলে শান্তর রান মাত্র ৭৩।

টি-টোয়েন্টি দলে থাকা রনি তালুকদার রান খরায় একাদশে জায়গা হারিয়েছেন রংপুর রাইডার্স থেকে। আফিফ হোসেন ৫ ম্যাচে করেছেন ১০৮ রান। তাওহিদ হৃদয় কিছুটা ভালো খেললেও ৫ ম্যাচে তার রানও ১২৬। চোখের সমস্যায় ভুগতে থাকা সাকিব নিজেও অবশ্য রানে নেই। ৫ ম্যাচের তিনটায় ব্যাট করতে গিয়ে করেছেন কেবল ৪ রান।

৬ ম্যাচে ২২৯ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন অবধি মুশফিকুর রহিম। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে চলে যাওয়ায় তাকে এই হিসেবে বাইরে রাখতে হচ্ছে।

শনিবার সিলেট পর্ব শেষে স্থানীয় তারকা ব্যাটারদের বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন যায় সাকিবের আছে। তিন সংস্করণের বাংলাদেশ অধিনায়ক তাতে কোন সমস্যা দেখছেন না,  'আমার মনে হয় এটা নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো। সবাই যখন জাতীয় দলে খেলবে সবাই যার যার জায়গাতেই আছে। আমার মনে হয় ভাল অবস্থায় আছে।'

বিপিএলে রান না পাওয়ার পেছনে উইকেটেরও একটা ভূমিকা দেখেন সাকিব, 'বিপিএল একটা কঠিন প্রতিযোগিতা। এবারের পিচগুলোও আদর্শ না। গতবার পিচ বা কন্ডিশন দুটোই ভালো ছিলো। রান হচ্ছিল। যেটা এবার হচ্ছে না। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা অনেক খেলে খেলে একটু নির্ভার হয়ে যায়। হয়ত সময় নিচ্ছে, এখান থেকে বিল্ডআপ করে বিশ্বকাপে গিয়ে হয়ত দল ভালো খেলবে। আমার মনে হয় না এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার আছে।'

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ গত এক-দেড় বছরে একটা সমন্বয় খুঁজে পেয়েছে। বেশ কিছু সাফল্যও এসেছে। সাকিব মনে করিয়ে দিলেন তা। তাছাড়া চলতি বছর অনেকগুলো টেস্টের সূচি থাকায় সেদিকেও নজর শীর্ষ অলরাউন্ডারের, 'সবাই যার যার জায়গা থেকে ভালো করবে। দল হিসেবে লাস্ট এক-দেড় বছর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ভালো করেছে। একই সঙ্গে টেস্টেও আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জিতলাম। এই বছর অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে। ১২-১৪টার মতন আছে। যেন সবাই ভালোভাবে খেলতে পারি। বেশ কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারলে ভালো হবে। টেস্টে প্রমাণ করার একটা বিষয় আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Talks snag on women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

2h ago