সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে জানুয়ারিতে

প্রবাসী আয়

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যা সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

জানুয়ারির প্রবাসী আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে, যা তখন ছিল ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া, জানুয়ারির আয়সহ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে প্রবাসী আয় ৩ শতাংশ বেড়ে ১২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রপ্তানি ছাড়া প্রবাসী আয় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম প্রধান উৎস।

কিন্তু, প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণের মাধ্যমে দেশে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসে, তার তুলনায় আমদানি ও অন্যান্য দায় পরিশোধের জন্য বেশি চলে যায়, তাই বিদেশে কর্মরতদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টে (বিওপি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এছাড়া গত আড়াই বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বিল পরিশোধের সুবিধার্থে দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে ২৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে, ফলে রিজার্ভ ক্রমান্বয়ে কমেছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রত্যাশ অনুযায়ী হচ্ছে না। ২০২৩ সালে ১৩ লাখ মানুষ কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। গত দুই বছরের সময়কালে ২০ লাখের বেশি মানুষ বিদেশের মাটিতে কাজ পেয়েছেন। এতে প্রত্যাশা ছিল, রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে।

সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার জন্য বিশ্লেষকরা হুন্ডি নামে পরিচিত অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোকে দোষারোপ করেছেন। কারণ বৈধ মাধ্যমের চেয়ে এসব মাধ্যমে অর্থ পাঠালে উচ্চ বিনিময় হার ও অন্যান্য সুবিধা পান প্রবাসীরা।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, বিদেশে কর্মরত প্রবাসীরা ঝামেলাহীনভাবে তাদের আয় পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।

তিনি বলেন, 'অনেকে বৈধভাবে, আবার অনেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে গেছেন। আবার এমন অনেকে আছেন যারা বৈধভাবে বিদেশে গিয়েও সেখানে তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। তাই তারা বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে পারছেন না।'

'তাই যে কেউ যেন বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে পারেন এমন সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

US cuts tariffs on Bangladesh to 20% after talks

The deal for Dhaka was secured just hours before a midnight deadline set by President Donald Trump

1h ago