অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ

নেপালকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশের যুবারা

রোহানাত দৌলা বর্ষণ। ছবি: বিসিবি

রোহানাত দৌলা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন ব্যাটারদের কাজটা করে দিলেন সহজ। তাদের নৈপুণ্যে অল্প পুঁজিতে থামল নেপাল। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় বিধ্বংসী ফিফটি করলেন জিশান আলম ও আরিফুল ইসলাম। অনায়াস জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।

বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে আসরের সুপার সিক্সের এক নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.৫ ওভারে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১৬৯ রানে অলআউট হয়। জবাবে ২৫.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭০ রান তুলে শেষ হাসি হাসে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

এই জয়ে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট বেড়ে হলো ৪। তারা আছে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। তাদের রেটিং পয়েন্ট +০.৩৪৮। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট করে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের নামের পাশে। নেট রান রেটের ব্যবধানে ভারত শীর্ষে (+৩.৩২৭) ও পাকিস্তান দুইয়ে (+১.০৬৪) অবস্থান করছে।

আরিফুল ইসলাম। ছবি: এক্স

যুবাদের পক্ষে ডানহাতি পেসার বর্ষণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮.৫ ওভারে ১৯ রানে পান ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিতে অফ স্পিনার জীবনের খরচা ৩৪ রান। ব্যাট হাতে জিশান খেলেন ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৪৩ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৬ চার ও ২ ছক্কা। আরিফুল ছিলেন আরও বেশি খুনে মেজাজে। তিনি ৩৮ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাট থেকে ৭ চার ও ২ ছক্কা।

ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর বিফলে যায় নেপালের অফ স্পিনার সুবাস ভান্ডারির প্রচেষ্টা। বাংলাদেশের পতন হওয়া ৫ উইকেটের সবকটিই নেন তিনি। ৮ ওভারে তিনি দেন ৪৪ রান।

বাংলাদেশের পেসারদের তোপে ২৯ রানেই ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে নেপাল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক দেব খানাল ও বিশাল বিক্রম। তবে চালিয়ে খেলতে পারেননি তারা। ১১৫ বলে ৬২ রানের এই জুটি ভাঙেন জিশান। এরপর ফের টাইগার বোলাররা জ্বলে ওঠেন। জীবন টানা ৩ উইকেট নেওয়ার পর বর্ষণ গুটিয়ে দেন প্রতিপক্ষের ইনিংস।

বিশালের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৮ রান। তিনি ১০০ বল খেলে মারেন ৬ চার। খানাল ৬০ বলে ৩ চারের সাহায্যে করেন ৩৫ রান। অতিরিক্ত খাত থেকে আসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান। দুই অঙ্কে পৌঁছান আর কেবল সুবাস (৩৪ বলে অপরাজিত ১৮ রান) ও অর্জুন কুমার (২৬ বলে ১৪ রান)।

জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। ৭০ বলে ৬৭ রানের জুটি আসে উদ্বোধনী জুটিতে। সেখানে মূল অবদান ওপেনার জিশানের। আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি থামেন ৩৪ বলে ১৬ করে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান বেশিদূর এগোতে পারেননি। তার সংগ্রহ ১১ বলে ১৫ রান। ৩৯ বলে ফিফটি ছোঁয়া জিশান ফেরেন ক্যাচ দিয়ে।

২৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট খুইয়ে ফেললেও চাপ জেঁকে বসতে পারেনি বাংলাদেশের ওপর। কারণ সামনে সমীকরণ ছিল সহজ। আর চারে নেমে আগ্রাসী ঢঙে ব্যাট করে সেটা আরও অনায়াস বানিয়ে ফেলেন আরিফুল। চতুর্থ উইকেটে আহরার আমিনকে নিয়ে তিনি যোগ করেন ৩৭ বলে ৪৫ রান। আহরার আউট হন ১৭ বলে ১২ রানে। 

মোহাম্মদ শিহাব জেমস ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। এরপর জীবনকে নিয়ে বাকি পথটুকু পাড়ি দেন আরিফুল। ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান তিনি। জীবন অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ৫ রানে।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সুপার সিক্সের মহাগুরুত্বপূর্ণ শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus returns home completing 4-day Japan tour

A flight of Singapore Airlines, carrying the CA landed at Hazrat Shahjalal International Airport at 12:15am on Sunday

3h ago