পিরোজপুর

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যা: বর্তমান চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৮

arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পিরোজপুরের নেছারাবাদে আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

আজ বুধবার দুপুরে বরিশালে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৮ এর উপপরিচালক রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার, তার সহযোগী সুষময় হালদার, জালিস মাহমুদ ও আমিনুল ইসলাম।

র‍্যাব জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানা এলাকা থেকে তাদের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

হত্যাকাণ্ডের পর তারা গ্রেপ্তার এড়াতে বাগেরহাটে আত্মগোপন করেছিলেন বলে র‍্যাব জানিয়েছে।

এ ঘটনায় এর আগে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন-শংকর সরকার, বাবুল হালদার, তাপস মজুমদার ও স্বাধীন  হালদার।

গতকাল মঙ্গলবার কুড়িয়ানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখর কুমারকে প্রধান অতিথি করায় আপত্তি জানিয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার। সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শুরুর পর বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার সহযোগীদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে হট্টগোল শুরু করে এবং ভাঙচুর করে। 

একপর্যায়ে সাবেক চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদারকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 
পরে তার মরদেহ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

নেছারাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম শাহীন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে শংকর সরকার ও বাবুল হালদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাপস মজুমদার ও স্বাধীন হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মালা মন্ডল বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Managing expectations the challenge for EC

The EC was a rubber stamp to legalise AL's usurpation of power in last three elections

3h ago