আরও ২৩ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর পুঁজিবাজার চাঙ্গা

পুঁজিবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ক্রমাগত পতনের সংবাদের পর সুখবর দিচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। গতকাল সোমবার আরও ২৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকালে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে।

আজ সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ৪৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ২৯৮।

এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় দেখা যায়—শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭৩ প্রতিষ্ঠানের, কমেছে ১৭১ প্রতিষ্ঠানের ও অপরিবর্তিত থেকেছে ৪২ প্রতিষ্ঠানের। সেসময় লেনদেন হয় ৪৬৬ কোটি টাকা।

তবে একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দেখা যায় বিপরীত দৃশ্য। বন্দর নগরীর পুঁজিবাজারে সূচক ৪৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ কমে হয়েছে ১৮ হাজার ১৯১।

শেয়ারের ক্রমাগত দরপতনের ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের লোকসান ঠেকাতে ও চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মুখে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই কৃত্রিম মূল্য পরিমাপ বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়।

তালিকাভুক্ত ৩৪৯ প্রতিষ্ঠান ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১২টির ক্ষেত্রে এখনো ফ্লোর প্রাইস বহাল আছে।

পুঁজিবাজারে চাঙ্গা ভাব ফেরাতে গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এরপর গত রোববার ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচকের পতন এক দশমিক ৫২ শতাংশ হলেও গতকাল সোমবার সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে হয় ৬২৫৪ দশমিক ৩০।

ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৪২ কোটি টাকা হয়। এটি ২০২৩ সালের ১৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ।

গতকাল সন্ধ্যায় বিএসইসি বলেছে, ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা আদেশ অনুযায়ী ১২টি ছাড়া অন্য সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সার্কিট ব্রেকারের ঊর্ধ্বসীমা প্রযোজ্য হবে।

সেই মোতাবেক আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, বেক্সিমকো, বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রামীণফোন লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড, রেনাটা লিমিটেড, রবি ও শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

10h ago