সুচিত্রা সেনকে এক পলক দেখেছিলাম: ফেরদৌস

ধানমন্ডিতে নিজের অফিসে বসে কথা বলছেন ফেরদৌস আহমেদ। ছবি: স্টার

ঢালিউডের নায়ক ফেরদৌস আহমেদ টালিগঞ্জেও অনেক সিনেমা করেছেন। একসময় দুই বাংলা-জুড়ে তার সিনেমা মুক্তি পেত নিয়মিতভাবে। ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে অনেকগুলো হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।

নায়ক ও প্রযোজক ছাড়াও ফেরদৌস এখন সংসদ সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে নিজের অফিসে বসে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই নায়ক। কথায় কথায় উঠে এসেছে বাংলা সিনেমার কালজয়ী নায়িকা সুচিত্রা সেনের প্রসঙ্গ।

ফেরদৌস বলেন, 'সুচিত্রা সেনকে এক পলক দেখেছিলাম। মনে হতে পারে এটা গল্প। কিন্তু তা নয়। এটা সত্যি। হঠাৎ বৃষ্টির মতোই হঠাৎ দেখা ছিল সেটা। তা-ও সামান্য কয়েক সেকেন্ডের জন্য। মুহূর্তের মধ্যেই না-ই হয়ে যান তিনি।'

সেদিনের গল্পটা তিনি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, 'সুচিত্রা সেন মহানায়িকা। অনেকের স্বপ্নের নায়িকা। আমারও স্বপ্নের নায়িকা। তার মেয়ে মুনমুন সেন আমার ভালো বন্ধু। সেই সুবাদে মুনমুন সেনের বাড়িতে যেতাম। তাকে অনুরোধ করতাম, আন্টিকে দেখতে চাই, ব্যবস্থা করে দাও। মুনমুন সেন হেসে বলতো, সম্ভব না।'

সুচিত্রা সেন। ছবি: সংগৃহীত

'তবে আমি আশা ছাড়িনি। অপেক্ষা করতাম। আশায় থাকতাম। যদি কোনোদিন স্বপ্ন পূরণ হয়। যদি কোনোদিন এক পলক দেখতে পাই কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনকে। কিন্তু সম্ভব হয় না। কেননা তিনি তো পরিবারের বাইরে কারও সঙ্গে দেখা করেন না। তারপরও ওই বাসায় গিয়ে মুনমুন সেনের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে সুচিত্রা সেনের দরজায় তাকিয়ে থাকতাম', বলেন ফেরদৌস।

বাংলা সিনেমার বিখ্যাত নায়িকা সুচিত্রা সেন পাবনার মেয়ে। তার জন্য বিভিন্ন সময় উপহার পাঠিয়েছেন বলেও জানান ফেরদৌস। 

তিনি বলেন, 'মুনমন সেনের কাছে মহানায়িকার পছন্দের জিনিসের নাম জেনে নিতাম। এরপর চেষ্টা করতাম সেগুলো উপহার হিসেবে পাঠাতে। শাড়িসহ বেশ কিছু উপহার দিয়েছি। তিনি সেসব গ্রহণও করেছেন তার মেয়ের কাছ থেকে। গানের ক্যাসেটও পাঠিয়েছিলাম। আমার নামও জেনেছেন। আমি বাংলাদেশের সিনেমার নায়ক এবং কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করি, সেসব খোঁজও পেয়েছেন মুনমুন সেনের কাছ থেকে।'

সুচিত্রা সেন। ছবি: সংগৃহীত

ফেরদৌস বলেন, 'একদিনের গল্প বলছি। মুনমুন সেনের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় গিয়েছি। একজন এসে দরজা খুলে দিলেন। দরজা খুলেই দৌড় দিয়ে একটি রুমে চলে গেলেন। বুঝতে পারলাম তিনিই সুচিত্রা সেন। তারপর তিনি দরজা বন্ধ করে দিলেন তার রুমে গিয়ে। আমি দৌড়ে গেলাম। কাজ হলো না। আর দরজা খুললেন না। মুনমুন সেন আমাকে বললেন, চলে এসো মা দরজা খুলবে না। ব্যস, ওটুকুই। এক পলক দেখলাম। এটা আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা। আমার জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত। যা ভুলতে পারব না।'

'সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবসে তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। যতদিন বাংলা সিনেমা থাকবে ততদিন সুচিত্রা সেনের নাম থাকবে। তার অভিনয় মুগ্ধ করেছে কোটি কোটি দর্শককে। আমিও তার ভক্ত। তার সব সিনেমা দেখেছি। প্রয়াণ দিবসে একজন শিল্পী হিসেবে তাকে স্মরণ করছি', যোগ করেন ফেরদৌস।

Comments

The Daily Star  | English

Hamas responds to Gaza ceasefire proposal, it's 'positive': Palestinian official

US President Donald Trump earlier announced a "final proposal" for a 60-day ceasefire in the nearly 21-month-old war between Israel and Hamas, stating he anticipated a reply from the parties in coming hours

1h ago