গ্যাস সংকটের সমাধান হতে আরও ২ বছর

 গ্যাস সংকট
নসরুল হামিদ। ফাইল ফটো

দেশে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে কাজ চলছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই আশাবাদ জানান। অবশ্য টানা তৃতীয়বারের মতো প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আয়োজিত এই ব্রিফিংয়ে খুব তাড়াতাড়ি গ্যাসের সংকটের সমাধানের কোনো আশা দেখাতে পারেননি তিনি।

আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করা গ্যাস সরবরাহে দেশে দুটি রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) আছে। কিন্তু গত নভেম্বর মাসে একটি ইউনিট সংস্কারের জন্য পাঠানো হয়। ফলে গ্যাসের সংকট বাড়ে। সংস্কার শেষ হওয়ায় দুই-একদিনের মধ্যেই এই ইউনিটটি গ্যাস সরবরাহ শুরু করবে।

কিন্তু একইসঙ্গে অন্য একটি এফএসআরইউ সংস্কার কাজের জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই ইউনিটটির সংস্কারকাজ চলবে। এরপর আগামী রমজান ও বোরো সেচ মৌসুমকে সামনে রেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।'

দুটি ইউনিট চালু থাকলে প্রতিদিন প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হয়। বর্তমানে একটি ইউনিট প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে। অর্থাৎ দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু হলেও গ্যাস সরবরাহ বাড়ছে না।

পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে সরবরাহ রয়েছে ২ হাজার ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট।

'আসন্ন রমজান ও বোরো মৌসুমে আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকল্পনা করছি। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানির। আমরা নতুন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আগামী সপ্তাহেও তিনি সময় দিলে আমাদের বৈঠক হবে। সেখানে বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে,' বলেন তিনি।

নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন এলাকায় এখন আবার অস্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। আমরা জানি না পরিস্থিতি কী হবে। তবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

আগামী এপ্রিল থেকে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা হবে। তেলের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও তা বাড়বে, কমলে দেশের বাজারেও কমবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানো। ভোলা, সিলেট ও বিবিয়ানা ঘিরে আমাদের বেশ কিছু সুখবর আসতে যাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজও আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে শুরু হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমরা আশা করছি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

65pc of suicide victims among students are teens: survey

Teenagers (aged 13-19) made up 65.7% of 310 students who died by suicide in 2024, according to a survey by Aachol Foundation.

1h ago