ফ্লাইট বিলম্ব ১৩ ঘণ্টা, পাইলটকে চড় মারলেন যাত্রী

ফ্লাইট দেরিতে ছাড়ার বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার সময় ভারতের বেসরকারি উড়োজাহাজসংস্থা ইনডিগোর এক ফ্লাইটে পাইলটের ওপর চড়াও হন এক যাত্রী। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ইনডিগোর ৬ই-২১৭৫ ফ্লাইটটি দিল্লি থেকে গোয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে ১৩ ঘণ্টায়ও ফ্লাইটটি দিল্লি ছেড়ে যেতে পারেনি।

ভারতের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইনডিগোর একটি উড়োজাহাজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ভারতের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইনডিগোর একটি উড়োজাহাজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

অভিযুক্ত যাত্রীর নাম সাহিল কাটারিয়া। পাইলট তার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন এবং এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, হলুদ রঙের হুডি পরা এক ব্যক্তি হঠাত করে উড়োজাহাজের শেষ সারি থেকে দৌড়ে এসে ফ্লাইটের কো-ক্যাপ্টেন অনুপ কুমারকে চড় মারেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের কারণে ডিউটি টাইম লিমিটেশন (এফডিটিএল) বিধির আওতায় তিনি আগের ক্রুর স্থলাভিষিক্ত হন। 

এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে যাত্রীকে উড়োজাহাজ থেকে বের করে নিয়ে এসে কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা মূলত পাইলটের পক্ষ নিয়েছেন। এক্সে প্রকাশিত মন্তব্যে দেখা যায় অনেকেই বলছেন, ফ্লাইট দেরিতে ছাড়ার জন্য পাইলটের কোনো দায় নেই। বরং এই উগ্র যাত্রীকে বিচারের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।

গত কয়েকদিনে দিল্লি বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইটের সময়সীমা নিয়ে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এক দিনের মধ্যেই ১১০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিলম্বিত ও আরও ৭৯টি বাতিল হয়।

ফ্লাইটরাডার২৪ ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গড়ে প্রতিটি ফ্লাইটে ৫০ মিনিট করে বিলম্ব হচ্ছে, যা যাত্রীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে।

ইনডিগো, স্পাইসজেট ও ভিসতারার মতো বড় উড়োজাহাজসংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দিল্লি ও কলকাতার ফ্লাইটগুলোর সময়সীমাতে আরও পরিবর্তন আসতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

34m ago