ব্যাংকে টাকা আটকে যাওয়ায় ৬৮২ হজযাত্রীর যাত্রা অনিশ্চিত

ছবি: সংগৃহীত

ফ্লাইটের টিকিট নিশ্চিত না হওয়ায় চলতি বছর ৬৮২ হজযাত্রীর সৌদি আরব যাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

হজযাত্রীদের টিকিটের প্রায় ১৩ কোটি টাকা প্রিমিয়ার ব্যাংকে জমা দেওয়া হলেও এখনো ব্যাংকটি সেই অর্থ ছাড়তে পারেনি।

ধর্ম মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার জানিয়েছে, এসব হজযাত্রী সময়মতো সৌদি আরব পৌঁছাতে পারবেন না। এ ছাড়া ২৭ মের মধ্যে অর্থ ছাড় দেওয়ার জন্য প্রিমিয়ার ব্যাংককে দুই দফা চিঠি দিলেও কোনো লাভ হয়নি।

গতকাল এক চিঠিতে প্রিমিয়ার ব্যাংককে সতর্ক করে মন্ত্রণালয় বলেছে, হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের বিঘ্নতার ক্ষেত্রে প্রিমিয়ার ব্যাংককে দায়ী করা হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হজযাত্রীরা এখন তাদের ফ্লাইট নিয়ে উদ্বিগ্ন।

চলতি বছর প্রথম হজ ফ্লাইট ছাড়ে গত ৯ মে এবং শেষ হজ ফ্লাইট ছাড়বে আগামী ১২ জুন।

দুটি হজ এজেন্সির গাফিলতির কারণেই মূলত এ সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

আকবর হজ গ্রুপ প্রাথমিকভাবে ৪২৮ জন হজযাত্রী পাঠানোর পরিকল্পনা করলেও পরে তা থেকে সরে যায়।

পরে এসব হজযাত্রীকে শিকদার এয়ার ট্রাভেলসে স্থানান্তর করা হয় এবং এই এজেন্সিও পরে তাদের পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তাদের আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সিতে স্থানান্তর করা হয়।

এসব হজযাত্রীর অর্থ প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখায় এবং আল রিসান ট্রাভেলসের হিসাব ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা শাখায় রয়েছে। টিকিট কেনার জন্য ইসলামী ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরের অনুরোধ করা হলেও প্রিমিয়ার ব্যাংক কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তা চাইলে তারা প্রথমে মার্চে এবং আবার ২৬ মে প্রিমিয়ার ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ২৭ মের মধ্যে অর্থ স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। তবে প্রিমিয়ার ব্যাংক তাতে সাড়া দেয়নি বলে জানান মতিউল ইসলাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার এক কর্মকর্তা জানান, গত ৩০ মে ৩১৮ জন হজযাত্রীর বিমানের টিকিট কেনার অনুমতি দিয়ে ছয় কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়।

বাকি টাকা শিগগিরই ছাড়ের জন্য কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago