নির্বাচনে একটি দল কত টাকা ব্যয় করতে পারে

ফেনীর ৩ আসনে জামানত হারালেন ২১ প্রার্থী
ইসির লোগো | সংগৃহীত

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টি নির্বাচনী প্রচারে সাড়ে ৪ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী, যে দল দুই শতাধিক প্রার্থী দিয়েছে, তারা সাড়ে চার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টি সর্বোচ্চ ২৬৫ প্রার্থী দিয়েছে এবং আওয়ামী লীগ ২৬৩ প্রার্থী দিয়েছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন কমিশন আরপিওর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোনো দলের নির্বাচনী ব্যয় ঠিক করে দেয়।

তিনি বলেন, দলগুলো ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে জানে।

দলের ব্যয় ছাড়াও, নির্বাচনী প্রচারে প্রতিটি প্রার্থীকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করার অনুমতি দেয় ইসি।

ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে অজ্ঞাত অর্থ ব্যয় বন্ধ করাই ব্যয়সীমা নির্ধারণের উদ্দেশ্য।

তবে দলগুলো আইন মানছে কিনা এবং নির্বাচনী প্রচারে তাদের সীমার মধ্যে ব্যয় করছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কোনো কার্যকর উপায় ইসির নেই বলে স্বীকার করেছেন তারা।

জানতে চাইলে অশোক দেবনাথ বলেন, 'আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।'

আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ১ হাজার ৮৯৫ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

আরপিও অনুযায়ী, যেসব দল একশ এর বেশি প্রার্থী দিয়েছে কিন্তু দুইশ এর কম, তারা তিন কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে।

তৃণমূল বিএনপি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে। দলগুলি যথাক্রমে ১৩৩ এবং ১২২ প্রার্থী দিয়েছে।

যে দলগুলো ৫০ জনের বেশি প্রার্থী দিয়েছে কিন্তু ১০০-এর কম তারা দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবে।

বাংলাদেশ কংগ্রেস ৯৫ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৭৯, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৪ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৬৩ জন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ৫৪ প্রার্থী দিয়েছে।

বাকি ১৮টি দল ৫০ জনের কম প্রার্থী দিয়েছে। আরপিও অনুসারে, তারা প্রত্যেকে পঁচাত্তর লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে।

আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের ৯০ দিনের মধ্যে এসব দলকে ইসিতে ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে।

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল, নির্বাচনে তাদের ব্যয় ছিল ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। ওই নির্বাচনে দলটি ২৬১ জন প্রার্থী দিয়েছিল। ২৫৬ জন প্রার্থী দেওয়া বিএনপি ব্যয় করেছে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং জাতীয় পার্টির ব্যয় হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

ওই নির্বাচনে ২৯৮ প্রার্থীর জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যয় ছিল সর্বোচ্চ ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

সাতটি রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, গণফোরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের দলীয়ভাবে কোনো খরচ নেই বলে ইসিকে জানায়।

বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে আগামী নির্বাচন বর্জন করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা ১৭টি রাজনৈতিক দল।

Comments

The Daily Star  | English

Killing of trader in old Dhaka: Protests erupt on campuses

Protests were held on campuses and in some districts last night demanding swift trial and exemplary punishment for those involved in the brutal murder of Lal Chand, alias Sohag, in Old Dhaka’s Mitford area.

2h ago