বিএনপি সন্ত্রাসী দল, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কখনো ক্ষমতায় আসেনি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সব সময় জনগণের ম্যান্ডেটের পরিবর্তে অন্য শক্তির সহায়তায় ক্ষমতায় যেতে চায়।
তিনি বলেন, 'যখনই নির্বাচনের সময় আসে, তখনই তারা (বিএনপি) অন্য কোনো শক্তির সন্ধান করে যারা তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে।'
যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশ বিষয়ক এপিপিজির চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের ক্রস পার্টির একটি পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সব সময় যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায়।
গত ৭ জানুয়ারির ও ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'যদি তারা কোনো নিশ্চয়তা না পায় যে কেউ তাদের ক্ষমতায় আনবে, তাহলে তারা নির্বাচন বয়কট করবে।'
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিল। কিন্তু, ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা না পাওয়ায় নির্বাচনের দিনে নির্বাচন বয়কট করেছিল।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারা কখনো ক্ষমতায় আসেনি।'
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনটি ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক এবং এর সুষ্ঠুতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি।
যেখানে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আসন এবং আওয়ামী লীগ পায় এককভাবে ২৩৩টি আসন, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা তাদের পছন্দ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনানিবাসে সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে বিএনপির জন্ম।
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি (জিয়াউর রহমান) হ্যাঁ/না ভোট এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছেন।
দীর্ঘ ২৯ বছর অগণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশ শাসন করেছে, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সেসময়ে দেশে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। ফলে, দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি।'
দলকে এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো নেতৃত্ব বিএনপির নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির লোকেরা শুধু লন্ডন থেকে নির্দেশ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, এর ফলে ২০০৮ সালের পর বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করার জন্য বিএনপি কর্তৃক অগ্নিসংযোগ ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো সত্ত্বেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তাদের ভোট দেয়।
তিনি বলেন, 'জনগণ বিএনপির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ৪১ দশমিক আট শতাংশ ভোট পড়েছে।'
পাঁচ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদলে রয়েছেন—প্রাক্তন টেক ও ডিজিটাল অর্থনীতির কনজারভেটিভ মন্ত্রী পল স্কুলি, ইউকে হাউস অব কমন্স সিলেক্ট কমিটির মেম্বার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স নীল কোয়েল, হাউস অব কমন্সের বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন, এবং হাউস অব কমন্সের সিনিয়র সংসদীয় সহকারী ডমিনিক মফিট।
প্রতিনিধিদলটি ২৭ জানুয়ারি ঢাকায় আসে এবং আগামী ৩১ জানুয়ারি তাদের লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
Comments