মানিকগঞ্জ-৩

অতীতের চেয়ে বেশি ভোট পাব: জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি মানুষের ক্ষোভ আছে: মফিজুল 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও গণফোরামের সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন প্রার্থী। তবে এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগ প্রার্থী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম খান কামালের উদীয়মান সূর্য প্রতীকের মধ্যে হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

অপর পাঁচ প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জহিরুল আলম রুবেল (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ (সোনালী আঁশ), কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী এম হাবিব উল্লাহ (গামছা) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী খালেক দেওয়ান (নোঙ্গর)।

ভোটাররা জানান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং সমঝোতার ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থীকে সরিয়ে তাকে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে। এ কারণে মানিকগঞ্জ-৩ আসনটি তার কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

এ ছাড়া, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ ও এম হাবিব উল্লাহর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ভালো থাকলেও, তাদের দলের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো না থাকায়, ভোটের দৌড়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদ মালেক এ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হন। তিনি বর্তমানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এ আসনে টানা চতুর্থবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তিনি। 

নির্বাচনে কতটা আশাবাদী, জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা মানিকগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। মেডিকেল কলেজ, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ভবন, ১০তলা সরকারি সমন্বিত ভবন, জুডিশিয়াল ভবন, নার্সিং ইনস্টিটিউট, স্কুল-কলেজের ভবন, রাস্তা-ঘাট ও অসংখ্য ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করেছি। জনগণ উন্নয়নের সঙ্গে আছে। এবার অতীতের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হব। ভোটারের উপস্থিতি শতকরা ৬০-৭০ ভাগেরও বেশি হবে।'

তিনি বলেন, 'আমার পিতা কর্নেল মালেক ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র। তিনি মন্ত্রীও ছিলেন। মানুষের সঙ্গে তার ছিল গভীর সম্পর্ক।'

এদিকে, উদীয়মান সূর্য প্রতীকের প্রার্থী মফিজুল ইসলাম খান কামালও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। মাত্র আড়াই বছরে সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমি মানিকগঞ্জ মহিলা কলেজ ও সাটুরিয়া গার্লস স্কুলের অন্যতম উদ্যোক্তা।'

তিনি বলেন, 'আমি সাটুরিয়ার সন্তান। ৫০ বছর ধরে সাটুরিয়ার কোনো নেতা এমপি হতে পারেনি। আমার বিশ্বাস মানুষ আমাকে ভোট দেবে। আমি জয়ী হব।'

মফিজুল ইসলাম আরও বলেন, 'আমি অর্ধেক ভোট পাব আমার যোগ্যতায়। আর বাকি ভোট আসবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা থেকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি মানুষের ক্ষোভ আছে। তার বিমা কোম্পানিতে শতশত মানুষের বিরাট অংকের টাকা আটকে আছে। বছরের পর বছর ঘুরেও টাকা তুলতে পারছেন না। ভোটাররা এবার তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।'

মানিকগঞ্জ পৌরসভা, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও সাটুরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-৩ আসনের মোট ভোটার তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪৬১। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৭৯ হাজার ৯১৪, পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৭ এবং নতুন ভোটার ৩৮ হাজার ৭৩৯। 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

6h ago