স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে ১০-১২ গুণ, প্রয়োজনে আমদানি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাগীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: স্টার

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গুর কারণে দেশে হঠাৎ করে স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ১০ থেকে ১২ গুণ। এ কারণে বিভিন্ন স্থানে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে চাহিদা পূরণের জন্য দেশের সব স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, 'প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আমদানির জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।'

আজ শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের ঢাকুলি এলাকায় এক কোটি ৬৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'দেশের ক্ষমতায় তারাও তো ছিল, কিন্তু তারা এলাকায় কোনো উন্নয়ন করেনি। দেশের মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে আছে, দেশের মানুষ আর বোমা হামলা, আগুন-সন্ত্রাসের সঙ্গে নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ আনন্দের সঙ্গে নৌকায় ভোট দেবে।'

জাহিদ মালেক বলেন, 'ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল হতে হবে। কারণ মশা কমলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাবে। বেশি করে মশা নিধনের ওষুধ প্রয়োগ করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে, কারণ এডিস মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য বাসা-বাড়ির আঙিনা ও চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।'

মন্ত্রী আরও বলেন, 'দেশে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের কোনো সংকট নেই, পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। তবে কোনো সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংকট দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে চাহিদা মোতাবেক তা দ্রুত সরবরাহ করা হবে।'
 
পরে তিনি ঢাকুলী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জাগীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন।

জাগীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র রমজান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

1h ago