যতই কেরামতি করেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার পাবেন না: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন জমছে না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তার ডামি নির্বাচন কমিশন।

আজ সোমবার এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, 'এখন তারা ভোটারদের হুমকি দিতে শুরু করেছেন। পুরো বাংলাদেশকে জেলখানা বানানো হয়েছে। জেলের ভেতরে যাদের নিক্ষেপ করা হয়েছে তাদের তিলে তিলে নির্যাতন করে হত্যা করা হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'একদিকে নৌকার প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা হুমকি দিচ্ছে ভোটকেন্দ্রে না গেলে বাড়িছাড়া করা হবে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনাররা জেল-জরিমানার হুমকি দিচ্ছেন। কেউ ভোট প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ৭ বছরের জেল হবে, অর্থদণ্ড হবে। ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করলে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।'

'ইসি মো. আনিছুর রহমান প্রতিদিন গণভবন থেকে আসা ফরমান ঘোষণা করছেন। একতরফা পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ১৮ কোটি জনগণকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গলির গুণ্ডাদের মতো শাসাচ্ছে। বিএনপিকে শায়েস্তার হুমকি দিচ্ছেন আনিছুর রহমানরা,' বলেন তিনি।

রিজভী আরও বলেন, 'বাংলাদেশের সংবিধানে ভোট দেওয়াও যেমন মানুষের অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়াও মানুষের মৌলিক অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না।'

'কিন্তু নৌকা ও ডামিরা ভোট দিতে না গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না, তাদের গায়েবি নাশকতা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে,' বলেন তিনি।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, 'দেশের বিভিন্ন স্থানে জনগণের মৌলিক অধিকারের দাবিতে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির শতশত নেতাকর্মীকে আটক করে নির্যাতন করছে পুলিশ। মানিকগঞ্জে বিএনপির লিফলেট নিয়ে পড়ার কারণে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।'

নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'এই একদলীয় ভোট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। যত ভয়ভীতি-কেরামতি যাই করেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার পাবেন না।'

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য ভোটারদের বাধ্য করতে অভিনব অমানবিক নির্যাতনের পন্থা প্রয়োগ করছে সরকার। পত্রিকায় প্রতিদিন খবর হচ্ছে, গণভবনের নির্দেশে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ অনুগত প্রশাসন। উপকারভোগীদের কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে, ফেরত দেওয়া হবে ভোট দেওয়া সাপেক্ষে। ভোটকেন্দ্রে না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।'

'শেখ হাসিনা এখন হতদরিদ্রদের খাবার অধিকারও ছিনিয়ে নিচ্ছেন' মন্তব্য করে রিজভী বলেন, 'ভাতার মালিক আওয়ামী লীগ সরকার না। এর মালিক দেশের জনগণ। জনগণের টাকা এবং বিদেশিদের সহায়তায় গরিবের জন্য অনুদান দেওয়া হয়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়া বিএনপির অবদান।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus opens second round of talks to strengthen national unity

'Beautiful July Charter' would be unveiled following discussions, he says

36m ago