মানিকগঞ্জ

বিএনপির লিফলেট নেওয়া ব্যবসায়ীকে আটক করে থানায় নিলো পুলিশ

ডলি প্লাজা
ব্যবসায়ীকে আটকের প্রতিবাদে ডলি প্লাজার সব দোকান বন্ধ রাখেন মালিকরা। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিতরণ করা লিফলেট নেওয়ার পর এক ব্যবসায়ীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। পরে ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের শহীদ রফিক সড়কের ডলি প্লাজা মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিএনপির নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডলি প্লাজার পোশাক ব্যবসায়ী মশিউর রহমান সুমনকে লিফলেট দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। লিফলেট বিতরণের ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন নেতাকর্মীরা। 

পরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেনসহ ৬-৭ জন পুলিশ সদস্য ডলি প্লাজায় গিয়ে ব্যবসায়ী মশিউর রহমান সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

এ ঘটনার প্রতিবাদে দেড়টার দিকে দোকান বন্ধ করে দেন পোশাক ব্যবসায়ীরা। এরপর তারা সদর থানায় যান। ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ সুমনকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় মানিকগঞ্জ তৈরি পোশাক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি খোন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।'

বিকেল ৩টার দিকে সরেজমিনে মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, মশিউর রহমানের 'বিথী ফ্যাশন' দোকানটি বন্ধ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ডেইলি স্টারকে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের দেওয়া লিফলেট নেওয়া এবং নেতাকর্মীরা তা ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ব্যবসায়ী মশিউরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী মশিউর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হঠাৎ বিএনপির কয়েকজন কর্মী এসে ব্যবসায়ীদের লিফলেট দেয়। আমাকে লিফলেট দেওয়ার সময় মোবাইলে ভিডিও করেন। পরে পুলিশ এসে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়।'

জানতে চাইলে ওসি মো. হাবিল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ব্যবসায়ীকে থানায় নেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।'

বিএনপির নেতাকর্মীদের লিফলেট নেওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি হাবিল হোসেন বলেন, 'লিফলেটের বিষয়ে নয়, অন্য একটি বিষয়ে তাকে থানায় নেওয়া হয়েছিল।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

16h ago