সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ‘সন্দিহান’ তৈমুর চান সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা

নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন তৈমুর আলম খন্দকার। ছবি: সৌরভ হোসেন সিয়াম/স্টার

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে 'শঙ্কা' প্রকাশ করে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার 'নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা' দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন৷

আজ শুক্রবার বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জে প্রচারণা কার্যক্রম চলাকালীন সাংবাদিকদের তিনি এ দাবির কথা জানান৷

সম্প্রতি উপজেলার কাঞ্চন বাজারে ক্ষমতাসীন দলের দুটি পক্ষের মধ্যে ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ এই সংঘর্ষের কথা তুলে ধরে তৈমুর বলেন, 'কাঞ্চনে সরকারদলীয় দুইপক্ষের লোকজন যেভাবে রাম দা, দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে, তাতে এখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ছি৷ জনমনে তো আতঙ্ক ঢুকে গেছে৷'

'নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না৷ পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে', যোগ করেন তিনি৷

তিনি বলেন, 'সরকারি দলের মধ্যেই যদি এ রকম খুনোখুনি শুরু হয়, অস্ত্র প্রদর্শন শুরু হয় আর প্রধানমন্ত্রী যদি ব্যবস্থা না নেন, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করতে পারবেন না৷ তিনি তাহলে কীভাবে আমাদের নিরাপত্তা দেবেন? তাহলে তো বিরোধী দল যে বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, সেটাই প্রমাণিত হবে৷'

সেনাবাহিনীকে 'বিচারিক ক্ষমতা' প্রদানের দাবি জানিয়ে তৈমুর বলেন, 'সেনাবাহিনীকে নামানো হবে, আমরা স্বাগত জানাই৷ কিন্তু সেনাবাহিনীকে সাক্ষী-গোপাল করে রাখা যাবে না৷ যেখানে সন্ত্রাস সেখানে প্রতিরোধ করতে পারার ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দিতে হবে৷ জনগণ যেন সেনাবাহিনীর কার্যকলাপে মনে করতে পারে, সেনাবাহিনী আসছে একটা সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য৷'

তিনি বলেন, '২০১৮ সালেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, কিন্তু তারা ছিলেন কেবল সাক্ষী-গোপাল৷ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কেবল ডানে-বায়ে ঘুরছে, কারো কোনো অভিযোগ শোনেনি, ব্যবস্থাও নেয়নি। কারণ তাদের সেই ক্ষমতা দেওয়াই হয়নি। আমাদের দাবি, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হোক৷ যাতে কোনো অপরাধ বা সন্ত্রাস সংঘটিত হলে, জোর করে সিল মারলে, ব্যালট ছিনতাই বা কোনো কারচুপি হলে আইনগত ব্যবস্থা সেনাবাহিনী নিতে পারে।'

তৃণমূল বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, 'সেনাবাহিনী যেন রাস্তাঘাটে না ঘুরে কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে৷ কারণ ভোট জালিয়াতি হয় কেন্দ্রে৷ নতুবা সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কোনো লাভ হবে না।'

তৈমুর বলেন, 'দেশের প্রায় সব জায়গায় তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা এমপি বাহিনী দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না, লাগানো পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে৷ চনপাড়াতে আমার পোস্টার লাগাতে দেয়নি। আমি এসপিকে বলেছি এ ব্যাপারে৷ এখন দেখার বিষয় কী ব্যবস্থা তারা নেয়৷'

Comments

The Daily Star  | English

Four reform commission chiefs submit reports to Yunus

They submitted the reports to Yunus at the chief adviser's office in Dhaka's Tejgaon around 11:30am

2h ago