শীতে বেড়েছে চাহিদা, রাজধানীতে দাম বেশি হাঁস-মুরগি-কবুতরের
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে রাজধানীতে বেড়েছে হাঁস, মুরগি ও কবুতরের মাংসের চাহিদা। বিশেষ করে, সপ্তাহের ব্যবধানে হাঁসের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০০-১৩০ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ইব্রাহিমপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, অনেক দোকানেই হাঁস বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়। কেজিতে নিলে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা।
বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, 'শীত পড়ার সাথে সাথে হাঁসের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। আমি কাপ্তানবাজার থেকে হাঁস আনি। ওখানে এখন দামাদামির কোনো সুযোগই নাই। যে দাম বলছে সে দামেই আনতে হচ্ছে। গত ২ সপ্তাহ আগেও হাঁস প্রতিকেজি ৩৩০-৩৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন ৫০০ টাকার কমে বিক্রি সম্ভব না।'
পাশাপাশি বেড়েছে কবুতরের মাংসের চাহিদাও। ক্রেতারা বলছেন, দুই সপ্তাহ আগেও ছোট কবুতর জোড়ায় ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হত। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন কবুতর বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায়।
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম। কারওয়ানবাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।
ক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহেও ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায় ও দেশি মুরগির দাম ছিল কেজি ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা।
তবে অপরিবর্তির রয়েছে গরুর মাংসের দাম। রাজধানীর অধিকাংশ দোকানেই সরকার নির্ধারিত ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু কিছু দোকানে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়ও গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে। ঢাকায় খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে শেওড়াপাড়ায় মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫০ টাকায়।
মাংসের বাড়তি দামে হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ। কারওয়ানবাজারের দোকান কর্মচারী ইউসুফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্ত্রী, সন্তান নিয়ে আমার ৪ পরিবারের সদস্য। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই কাজ করি। ২ জনের আয়েও সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। কিছু আইটেম গত সপ্তাহের তুলনায় কমছে। যেমন—শীতের সবজি। কিন্তু দাম বেড়ে গেল মাংস, ডাল, ডিমের। কোনো জিনিসের দাম কমে যে স্বস্তি পাওয়ার কথা সেটা আর পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ একটা কিছুর দাম কমলে ৫টার দাম লাফিয়ে বাড়ে।'
Comments