‘বৃষ্টির কারণে’ বাজারে সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-৪০ টাকা

সবজির দামবৃদ্ধির দায় কার?
স্টার ফাইল ফটো

টানা বৃষ্টির প্রভাবে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়ে গেছে। এর জন্য বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

আজ বুধবার ঢাকার কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর ১১ নম্বর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজির দাম ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারে গত সপ্তাহে পেঁপে বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা দরে, যা এ সপ্তাহে ৬০ টাকায়। একইভাবে লতি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকায়, করলা ৬০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকায় ও বরবটি ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচামরিচের দাম মাঝে কেজিপ্রতি ১৬০-১৮০ টাকা হয়েছিল, এখন তা আবার বেড়ে ২০০-২৪০ টাকা হয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে, জমিতে কাঁদা পানি জমে যাওয়ায় সবজি সংগ্রহ করতেও কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া টানা বৃষ্টিতে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় সবজি বাজারে আসতে সময় লাগছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, 'সাধারণত যেসব সবজি ২০ মণ আনি, সেগুলো এখন এনেছি সাত মণ। টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে কাঁদা-পানি, সেজন্য সবজি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।'

পূর্ব শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা মো. রনি বলেন, 'আজকে পেঁয়াজ কিনলাম ১০০ টাকা কেজি। ভালোটা ১২০ টাকা চায়। যে পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৯০ টাকা ছিল, সেটাই ১০০ টাকা দিয়ে আজকে কিনতে হলো। করলা গত সপ্তাহে ৮০ টাকায় কিনেছিলাম, আজ কিনলাম ১০০ টাকা কেজিতে।'

'শাকের দামও বেড়েছে। যে শাক ১০ টাকা ছিল, সেটা ২০ টাকায় কিনতে হয়েছে,' বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে গড়ে ৫২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা। আবহাওয়া অধিদপ্তর দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে গত কয়েক দিনের তুলনায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমেছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামীকালও ঢাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কম থাকবে। তবে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh’s population hits 175.7 million, majority of working age

Bangladesh's population has reached 175.7 million, two thirds of which, around 115 million, are of working age, between 15 to 64..The estimation was made by the United Nations Population Fund's (UNFPA) annual flagship publication, the State of World Population (SWOP) 2025..UNFPA Repr

32m ago