সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামানের আয় কমলেও বেড়েছে ব্যাংক জমা

নুরুজ্জামান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বার্ষিক আয় কমলেও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের। মন্ত্রীর দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ তার বার্ষিক আয় ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৫ টাকা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছেন ৩২ লাখ ৬ হাজার ৪০৬ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় নুরুজ্জামান আহমেদ তার অস্থাবর সম্পদের পরিমান উল্লেখ করেছিলেন ২ কোটি ৮৩ লাখ ১৫ হাজার ২৯৩ টাকা তবে এবারের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের পরিমান উল্লেখ করেছেন ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫১ টাকা।

তবে স্থাবর সম্পদের পরিমান আগের মতোই রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ২৫ বিঘা কৃষি জমি, ৩৫ বিঘা জমির ওপর মৎস্য প্রকল্প ও ২০ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।

২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ তার আয়ের উৎস উল্লেখ করেছিলেন কৃষি, মৎস্য, তামাকের ব্যবসা ও সম্মানীভাতা। সেসময় তার কাছে নগদ টাকার পরিমান উল্লেখ করেছিলেন ১ কোটি ৪১ লাখ ৮২ হাজার ২১০। ব্যাংকে আমানত রাখা টাকা উল্লেখ করেছিলেন ১ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৩ টাকা। বাকি সম্পদ উল্লেখ করেছিলেন ৩৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা মূল্যের একটি  গাড়ি, ৩২ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার, ২৬ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের দাম ৬০ হাজার টাকা।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হলফনামায় তার কাছে নগদ টাকার পরিমান উল্লেখ করেছেন ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৪, ব্যাংকে জমাকৃত আমানত উল্লেখ করেছেন ২ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ৯৯৭ টাকা এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছেন ২০ লাখ টাকা। বাকি সম্পদ উল্লেখ করেছিলেন ৩৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা মূল্যের একটি  গাড়ি, ৩২ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার, ২৬ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের দাম ৬০ হাজার টাকা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের দেওয়া হলফনামায় তার স্ত্রীর সম্পদের বিবরণ উল্লেখ করা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Rapid Action Battalion reform

Rab wants to shed its dark past

Since its formation nearly two decades ago to curb organised crime and terrorism, the Rapid Action Battalion (Rab) has been dogged by serious allegations of human rights violations. Rights activists and critics accused it of morphing into a “government death squad” that operated with impunity.

12h ago