নারায়ণগঞ্জ-১

আ. লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহানের আয় বেড়েছে ১৭ গুণ, স্থাবর সম্পদ ৮৮ গুণ

শাহজাহান ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া। প্রায় পাঁচ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা এই নেতা সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে সম্প্রতি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে এই প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১৭ গুণ। আর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৮৮ গুণেরও বেশি।

এই প্রার্থী তার হলফনামায় তার কাছে নগদ টাকা ও ব্যাংকে কোনো টাকা নেই বলে উল্লেখ করেছেন।

পেশায় ব্যবসায়ী শাহজাহান ভূঁইয়ার ব্যবসা, বাড়ি, দোকানভাড়া, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য খাতে বর্তমানে বাৎসরিক আয় ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬৮ টাকা। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী তার বাৎসরিক আয় ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৩০ টাকা।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তার আয় কয়েকগুণ বেড়ে গেলেও তার ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় উল্লেখ নেই হলফনামায়।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি কেবল ইলেকট্রনিক সামগ্রী, আসবাবপত্র ও অন্যান্য বাবদ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। হলফনামায় তার নামে কোনো ব্যাংকে কোনো টাকা নেই বলে দেখিয়েছেন। এমনকি তার কোন নগদ টাকাও নেই। তার স্ত্রীর নামেও কোনো অর্থ বা স্বর্ণালঙ্কার নেই বলে জানিয়েছেন।

যদিও ৫ বছর আগে তার কাছে নগদ টাকা ছিল ২৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৩২ টাকা। একই পরিমাণ অর্থ ব্যাংকে জমা ছিল। আগে তার স্ত্রীর কাছে ৪৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল বলে উল্লেখ করেছিলেন।

আগে তার নামে স্থাবর সম্পদ হিসেবে কেবল ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩ বিঘা জমি ছিল। বর্তমানে তার স্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩০ টাকা। যা পূর্বের সম্পদের তুলনায় ৮৮ গুণ।

যদিও পাঁচ বছর পূর্বে যৌথ মালিকানায় ৩২ বিঘা জমির মধ্যে ১২ বিঘা নিজের নামে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। যার বাজারমূল্য তিনি দেখাননি।

হলফনামায় উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় দুটি হত্যাসহ চারটি মামলা ছিল। যার প্রত্যেকটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

পাঁচ বছরের ব্যবধানে আয় ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, 'আমি বালুর ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছি। আমার ব্যবসা বেড়েছে তাই ইনকামও বেড়েছে। আর ব্যাংকে জমা টাকার কথা তো উল্লেখ থাকার কথা ছিল। কেন নেই তা হলফনামা না দেখে বলতে পারব না।'

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

1h ago