সিলেট থেকে

বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা: তাইজুল

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

'অবশ্যই, বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা।'

সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রশ্নের উত্তরে এমন শুরু করে নিজের আবেগকে দ্রুত সামলে নেন তাইজুল ইসলাম। তার ভালোই জানা আছে, কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। সিলেট টেস্টে জিততে হলে নিউজিল্যান্ডের বাকি থাকা ৩ উইকেট তুলে নিতে হবে বাংলাদেশকে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এর আগে খেলা ১৭ টেস্টে বাংলাদেশের জয় কেবল একটিতে। সেই ঐতিহাসিক জয়টা এসেছিল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে, গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইতে। এবার একই প্রতিপক্ষের বিপরীতে নিজেদের মাঠে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। এমন শক্ত অবস্থান তৈরিতে বল হাতে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, তিনি বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল।

প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার ঘূর্ণি জাদুতে শুক্রবার টেস্টের চতুর্থ দিনে কুপোকাত হয়েছেন বিপজ্জনক কেইন উইলিয়ামসন থেকে শুরু করে ডেভন কনওয়ে, টম ব্লান্ডেল ও কাইল জেমিসন। ৩৩২ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া কিউইরা দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ১১৩ রান নিয়ে।

সারাদিন অসাধারণ বোলিংয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসেন তাইজুল। দেশের মাটিতে সপ্তম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো হারানোর দ্বারপ্রান্তে থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এখনও জিতিনি। তবে আমরা জেতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কালকেও করব। আমার কাছে মনে হয়, একটা বড় দলকে যখন হারানো যায়, নিজেদের আত্মবিশ্বাস থেকে শুরু করে, আমাদের দেশের যেসব খেলোয়াড় এখন খেলছে, তাদের আত্মবিশ্বাস থেকে শুরু করে একটা দলের বদলে যাওয়ার আভাস থাকে।'

এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। আগের দুবারই এই প্রতিযোগিতার পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে ছিল তারা। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে টাইগারদের জয় কেবল একটিতে, ড্র দুটিতে। বাকি ১৬ ম্যাচেই পেতে হয়েছে হারের তেতো স্বাদ।

এই দফায় নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে শুভ সূচনা করার পথে এক পা দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। জিতলে যে আত্মবিশ্বাস মিলবে, সেটাকে আগামীর পাথেয় করার লক্ষ্য জানান তাইজুল, 'আমাদের পরিকল্পনা যেটা... এটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ। তো আমরা চাই যে পুরো বছরটা (চক্র) যেন আমরা ওই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেন খেলতে পারি। যাই হোক না কেন, আমরা কয়টা ম্যাচ জিতব বা জিতব না, তা কিন্তু জানি না। আমরা যেন বাংলাদেশকে ভালো কিছু একটা দিতে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

8h ago