মুমিনুলের ঘূর্ণি জাদুর পর বাংলাদেশের লিড
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড নেওয়ার সম্ভাবনা মিইয়ে গেল কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির জুটিতে। দিনের শুরুতে তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজরা নতুন বলের উজ্জ্বলতা কাজে লাগাতে পারলেন না। নাঈম হাসান দারুণ কিছু ডেলিভারি করলেও একাদশের একমাত্র পেসার শরিফুল ইসলাম থাকলেন নিষ্প্রভ। ফলে প্রথম ঘণ্টা নির্বিঘ্নে পার করে দিল নিউজিল্যান্ড।
শেষমেশ মুমিনুল হকে মিলল আশার আলো। আগের দিন ১ উইকেট পাওয়া এই অনিয়মিত বাঁহাতি স্পিনার একই ওভারে ফেরালেন জেমিসন ও সাউদিকে। এর আগে অবশ্য ৭ রানের ছোট একটি লিড নেওয়া নিশ্চিত করল কিউইরা। বৃহস্পতিবার সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে তাদের প্রথম ইনিংস থামল ৩১৭ রানে। আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। এদিন বাকি ২ উইকেট হারিয়ে দলটি যোগ করল আরও ৫১ রান।
প্রতিপক্ষকে দ্রুত অলআউট করার আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেই আশা মাড়িয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই টেলএন্ডার জেমিসন ও সাউদি। নবম উইকেটে তারা যোগ করলেন ১১০ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫২ রান।
তাইজুল ও মিরাজ সকালে কার্যকর হতে পারলেন না। বরং কিছুটা হতাশই করলেন তারা। তাদেরকে সহজেই খেলে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ তিনশতে নিয়ে গেলেন জেমিসন ও সাউদি। এরপর নিশ্চিত করলেন লিড। প্রথম ঘণ্টায় পড়ল না কোনো উইকেট। সাফল্যের খোঁজে মরিয়া হয়ে ওঠা বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই দ্বারস্থ হলেন মুমিনুলের।
প্রথম সেশনের পানি পানের বিরতির পর প্রথম বলেই মুমিনুল আনলেন কাঙ্ক্ষিত উইকেট। এটি ছিল তার দিনের দ্বিতীয় ওভার। জেমিসনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেললেন তিনি। রিভিউ নিলেও কাজ হলো না। ৭০ বলে জেমিসনের রান ২৩। ওই ওভারের পঞ্চম বলে কিউই অধিনায়ক সাউদিকেও বোল্ড করে দিলেন মুমিনুল। ৬২ বলে ৩৫ রান এলো সাউদির ব্যাট থেকে। এজাজ প্যাটলে অপরাজিত থেকে গেলেন ৩ বলে ১ রানে।
৩.৫ ওভারে একটি মেডেনসহ মুমিনুলের শিকার ৪ রানে ৩ উইকেট। টেস্টে এটি তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। দ্বিতীয় দিনে ৪ উইকেট নেওয়া তাইজুল অবশ্য নিজের সংগ্রহের খাতায় নতুন যোগ করতে পারলেন না।
অল্প কয়েকটি রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নেমে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত কোনো বিপদ হতে দিলেন না বাংলাদেশের দুই ওপেনার। দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়ার আগে স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে জমা হলো বিনা উইকেটে ১৯ রান। অর্থাৎ ইতোমধ্যে ১২ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে তারা। মাহমুদুল হাসান জয় ৩৪ বলে ৫ ও জাকির হাসান ২৬ বলে ১৪ রানে খেলছেন।
বরাবরের মতো রয়েসয়ে ব্যাট করছেন প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা জয়। জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে দুটি চার। পঞ্চম ওভারেই আক্রমণে স্পিনার আনেন সাউদি। বাঁহাতি এজাজের বল তীক্ষ্ণ কিছু বাঁক নিলেও সেই চ্যালেঞ্জ দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার। এর আগে দুই পেসার সাউদি আর জেমিসনের আক্রমণাত্মক বোলিংও পারেনি তাদের রক্ষণদেয়ালে ফাটল ধরাতে। নতুন বলকে ভালোভাবেই সামলেছেন তারা।
Comments