সিলেট থেকে

এক টেস্টে 'দুই অঙ্কের রানের' রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ইনিংসে কেবল একজন পারেননি দুই অঙ্কের রান করতে। তাই টেস্টে বাংলাদেশের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ দুই অঙ্কের যে রেকর্ড— ১১ জনের সবার, সেটি আরেকবার স্পর্শ করতে পারেনি নাজমুল হাসান শান্তর দল। তবে এবার দ্বিতীয় ইনিংসে এসে সর্বোচ্চ একটি রেকর্ডেরই দেখা পেল তারা। সিলেট টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ১৮ বার দুই অঙ্কের রান করেছেন। সাদা পোশাকে এক ম্যাচে এত বেশি দুই অঙ্কের ইনিংস এর আগে কখনো পায়নি বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের আগে সবচেয়ে বেশি ১৬টি দুই অঙ্কের ইনিংস বাংলাদেশ পেয়েছিল। সেই ঘটনা এবশ্য কেবল এক ম্যাচেই শুধু ঘটেনি, হয়েছে ছয়টি ম্যাচে। এক টেস্টে ১৫টি দুই অঙ্কের রান করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, সেটিও হয়েছে ছয়টি ম্যাচে। কিন্তু এবার আগের সব কিছুকেই ছাড়িয়ে গেল সিলেট টেস্ট। প্রথম ইনিংসে দশজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করেন, দ্বিতীয় ইনিংসে এসে আটজন অন্তত দুই অঙ্কের রানে পৌঁছান। 

প্রথম ইনিংসে তাইজুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ৮ রানে। যদিও ১১ জন ব্যাটারেরই সুযোগ ছিল দুই অঙ্কের রান করার। ১১ ব্যাটারই এক ইনিংসে দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করেছেন, বাংলাদেশ সেটা দেখতে পেরেছিল এর আগে একবার। ২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম ইনিংসে হয়েছিল তা।

সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এসে আটজন পান দুই অঙ্কের দেখা। দুই ওপেনারের একজন— মাহমুদুল হাসান জয় আউট হয়ে যান এক অঙ্কেই। ৮ রানে তিনি ফিরে যান। আরেক ওপেনার জাকির হাসানও ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে অধিনায়ক শান্ত ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের থেকে বাংলাদেশ পায় ৬৭ রানের ইনিংস।

অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপু ১৮ ও একাদশে ফেরা নুরুল হাসান সোহান ১০ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান এক অঙ্কেই ফিরে গেলেও শেষ ব্যাটার শরিফুল ইসলাম আউট হওয়ার আগে ১০ রান করতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

3h ago