বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট

চা বিরতির আগে মুমিনুল-জয়ের বিদায়ে ধাক্কা খেল বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম সেশনটা পুরোপুরি নিজেদের করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে সেই আক্ষেপ সম্পূর্ণরূপেই ঘুচিয়ে দেওয়ার পথে ছিল তারা। কিন্তু এই সেশনেও বিরতির কিছুক্ষণ আগে উইকেট হারিয়ে বসল বাংলাদেশ। শেষ মিনিট পনেরোতেই মুমিনুল হক ও মাহমুদুল হাসান জয়— এই দুজনকে হারিয়ে দাপুটে সেশনের গল্প লেখা হলো না তাই।

মঙ্গলবার সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৮৫। ক্রিজে আছেন নতুন দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। মুশফিক ৬ বল খেলে ১ রান করলেও ৪ বল খেলা অভিষিক্ত শাহাদাত এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১০৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ২৮ ওভারে তারা যোগ করেছে ৮১ রান। অর্থাৎ রান তোলার গতি কিছুটা কমেছে। আর ২ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড সেশনটাকে সমান-সমান বানিয়ে দিয়েছে।

প্রথম সেশনে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে যাওয়া জয় দ্বিতীয় সেশনেও সমানতালে খেলে যাচ্ছিলেন। কিউই স্পিনাররা তার সামনে হুমকি প্রমাণিত হননি মোটেও। দিনের মধ্য সেশনে পেসারদের জন্য সহায়তা স্বাভাবিকভাবেই কমে এসেছিল। নিউজিল্যান্ড পেসার কাইল জেমিসন তাই শর্ট লেংথের বোলিংয়ে মনোযোগ দেন। তবে জয় রক্ষণে ছিলেন দৃঢ়। একবার শুধু জেমিসনের বাউন্সারে বড় শট খেলে ফেলেছিলেন, যদিও বল খালি জায়গায়ই পড়েছিল। 

সেঞ্চুরির সুবাস ছড়িয়ে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন জয়। বাংলাদেশ ছিল উইকেট না খুইয়ে একটি সেশন পার করার পথে। কিন্তু আচমকাই খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে দুটি উইকেট পড়ে যায়। প্রথমে মমিনুল ফিরে যান ৭৮ বলে ৩৭ রান করে। গ্লেন ফিলিপসের নিরীহ এক বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ দেন মমিনুল।

দলীয় ১৮০ রানে মমিনুল ফিরে গেলে ভেঙে যায় ১৭১ বলে ৮৮ রানের জুটি। বাঁহাতি এই ব্যাটারের ফেরার ৪ রানের মধ্যে জয়ও ধরেন একই পথ। কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোধির সামান্য বাঁক খাওয়া বলে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন জয়। স্লিপে দুর্দান্ত কায়দায় বল লুফে নেন ড্যারিল মিচেল। ১৬৬ বলে ১১ চারে ৮৬ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। জয় ফিফটি স্পর্শ করেছিলেন ৯৩ বলে।

পরের ওভার শেষেই চা বিরতিতে যায় দুই দল।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

2h ago