সিলেট থেকে

দুই আক্ষেপ সত্ত্বেও জয় মনে করছেন বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ফাঁকে ফাঁকে নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা টার্ন পেলেও উইকেট গোটা দিনই থাকল ব্যাটিং সহায়ক। তারপরও দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহে সেটার ছাপ মিলছে কই! বরং একে বলা চলে, হেলায় সুবর্ণ সুযোগ হারানো। একেবারে নির্বিষ ডেলিভারিতেও তো আউট হয়ে গেলেন একাধিক টাইগার ব্যাটার। সংবাদ সম্মেলনে এসে তাই মাহমুদুল হাসান জয় আক্ষেপের কথা স্বীকার করতে কুণ্ঠাবোধ করলেন না। সেই আক্ষেপ বাংলাদেশ দলের, সেই আক্ষেপ জয়ের একারও।

সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের খেলার ইতির আগে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে তুলেছে ৩১০ রান। এখনও অপরাজিত থাকা তাইজুল ইসলাম ছাড়া একাদশের বাকি সবাই পৌঁছেছেন দুই অঙ্কের স্কোরে। এখান থেকেই বোঝা যায় যে উইকেট ব্যাটারদের জন্য কঠিন ছিল না। কিন্তু ফিফটি করতে পারেন কেবল একজনই। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ওপেনার জয় করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান। তার ১৬৬ বলের ইনিংসে ছিল ১১ চার। সেই জয়ই পরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে।

দল ভালো অবস্থানে আছে মনে করলেও আফসোসের কথা গোপন করেননি জয়, 'হ্যাঁ, অবশ্যই (আক্ষেপের ব্যাপার)। দেখুন, আমারও কিন্তু বড় ইনিংস করার সুযোগ ছিল, দুর্ভাগ্যবশত মিস করে ফেলছি। কিন্তু ওপেনার হিসেবে প্রতিদিন আমার সুযোগ আসে না সেট হয়ে বড় স্কোর করার। আজকে সুযোগ এসেছিল, দুর্ভাগ্যবশত মিস হয়ে গেছে। সবাই মোটামুটি ভালো শুরু করেছিল। তবে ইনিংসটা বড় করতে পারে নাই। এটা আক্ষেপের ব্যাপার। আরেকটা ব্যাপার হলো, আমাদের স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান আছে। এখনও একটা ভালো অবস্থানে আছি।' 

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পরিকল্পনা হলো ৩৫০ থেকে ৩৮০ রান করার। সেই লক্ষ্য পূরণ করা এখন ভীষণ কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তবে জয়ের কণ্ঠে পাওয়া যায় হতাশ হওয়ারই ইঙ্গিত। একইসঙ্গে নিজ দলের স্পিনারদের নিয়ে আশাবাদী তিনি। জয়ের মতে, বাংলাদেশ যে পুঁজি পাবে, সেটার চেয়ে কম রানে আটকে দেওয়া সম্ভব কিউইদের, 'আমাদের তো পরিকল্পনা ছিল... ৩৫০-৩৮০ রান হলে খুব ভালো হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয় নাই। আমরা এখন চেষ্টা করব যে, (নিউজিল্যান্ডকে) ওই রানের মধ্যে... আমাদের যে মানসম্পন্ন স্পিনার আছে, তারা যদি ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারে, ওদের খুব কম রানে অলআউট করা সম্ভব।' 

১০ টেস্টের ক্যারিয়ারে চতুর্থ হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নেন জয়। সেঞ্চুরির সুবাস জাগালেও দ্বিতীয় সেশনে তাকে বিদায় নিতে হয়। নিউজিল্যান্ডেরলেগ স্পিনার ইশ সোধির হালকা টার্ন করা ডেলিভারিতে স্লিপে ড্যারিল মিচেল ক্যাচ লুফে নেন বল মাটিতে পড়ার ঠিক আগে। এর আগ পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ। সত্যিকার অর্থে, প্রতিপক্ষকে নিশ্চিত কোনো সুযোগই দেননি তাকে আউট করার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্টেও তিনি সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন। গত জুনে হওয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে খেলেছিলেন ৭৬ রানের ইনিংস।

থিতু হয়ে বিদায় নেওয়া জয় সামনে আরও ভালো করার প্রত্যাশা রাখেন, '(আক্ষেপ তো) অবশ্যই । দেখুন, ওপেনার হিসেবে আমার প্রতিদিন সুযোগ আসে না সেট হওয়ার। আমি দুটি ইনিংসে (সেঞ্চুরি) মিস করছি। চেষ্টা করব সামনে আরও ভালো করার।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s ICT trial hears survivor’s account of being shot, denied treatment

Survivor claims Hasina ordered 'no release, no treatment' for injured protesters in court

1h ago