অর্থনীতি বাঁচাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে: সিইসি

সিইসি
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ বাঁচাতে হলে আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।

আজ সোমবার ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) নির্বাচনী তদন্ত কমিটির প্রশিক্ষণের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু বিদেশি দেশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ওপর তাদের থাবা বাড়াচ্ছে।

সিইসি বলেন, 'কয়েকটি দেশকে বাদ দিলে বেশিরভাগ দেশই সত্যিকারের সার্বভৌম নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে নির্দেশ দিতে পারে, আমরা সেভাবে করতে পারি না।'

তিনি বলেন, 'আমাদের নির্বাচনে কিন্তু বাহির থেকেও থাবা এসে পড়েছে। তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অনেককিছুই রক্ষা করতে হলে এই নির্বাচনটাকে ফ্রি, ফেয়ার ও ক্রেডিবল করতে হবে।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে দেশ 'সংকটে' রয়েছে। আস্থা নিয়ে সন্দেহ আছে, আমাদের তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকেরই দায়িত্বশীলতার সাথে দায়িত্ব পালন করা উচিত।'

সিইসি বলেন, সম্প্রতি খুব কষ্ট পেয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং লক্ষ্মীপুরে সিল মারা হয়েছে। আমরা সেখানে প্রতিহত করতে পারিনি। আমাদের প্রশাসন পারেনি। আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তারা পারেনি। এটা লজ্জাকর। তবে এই সিল মারাটাও কিন্তু আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে গেছে। এটা মন্দ সংস্কৃতি। পেশিশক্তি ব্যবহার করা, কালো টাকা ব্যবহার করা এবং এই ধরনের কারচুপি করা দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে আমাদের এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা নিরন্তর চেষ্টা করছি।

'আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়েছি নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। এজন্য সকলের আন্তরিক ও সাহসি সহায়তা আমাদের লাগবে,' বলে জানান সিইসি।

তিনি বলেন, 'আমরা আশা করব আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলে চোখকান খোলা রেখে, সৎভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং আপনারা যারা ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে কাজ করবেন তাদেরও ব্যাপক দায়িত্ব রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
sirens sound in israel after iran missile attack

Attacking military infrastructure in Western and Central Iran: Israeli military

Trump to decide within two weeks on possible military involvement

20h ago