গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়ানো বিএনপিকর্মীর মরদেহ উদ্ধার
বগুড়ায় গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়ানো এক বিএনপিকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্বজনরা।
গত ১৫ নভেম্বর বগুড়ায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন তিনি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আব্দুল মতিন (৫৫) শেরপুর উপজেলার মান্দাইল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি উপজেলা বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ গ্রামের একটি সরিষা খেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্বজনরা জানায়, মামলার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি রাতে বাড়িতে থাকতেন না।
জানতে চাইলে নিহতের পুত্রবধূ শাহানাজ খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার শ্বশুর মতিন মামলার পর থেকে রাতে নিয়মিত বাড়িতে থাকতেন না। বুধবার সকাল ১১টার দিকে বাড়িতে এসে শীতের জামাকাপড় নিয়ে চলে যান।'
'আজ সকাল ৮টার দিকে জানতে পারি সরিষা খেতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে,' বলেন তিনি।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ১৫ নভেম্বর সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলার ৬৪ নম্বর আসামি ছিলেন নিহত মতিন।
জানতে চাইলে ওসি বাবু কুমার সাহা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠিক কী কারণে বা কারা মতিনকে মেরেছে এখনো জানতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।'
নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা চলমান বলে জানান ওসি।
Comments