তারা আবার মানুষ পোড়ানো শুরু করে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি মানুষকে মেরে সরকারের পতন ঘটাতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপি মানুষ মেরে সরকারের পতন চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা আবার মানুষ পোড়ানো শুরু করে দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভার আগে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সরকার উৎখাত করবে, সে জন্য আন্দোলন। কী আন্দোলন? ২৮ অক্টোবর তাদের অগ্নি সন্ত্রাস। চিফ জাস্টিসের বাড়ি আজ পর্যন্ত কেউ কখনো আক্রমণ করে না। এই বিএনপির সন্ত্রাসীরা চিফ জাস্টিসের বাড়ি আক্রমণ করল, ভাঙচুর করল। জাজরা যেখানে থাকে—জাজেস কোয়ার্টার, সেখানে তারা আক্রমণ করেছে। তারা সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। তাদেরই সাংবাদিক, সব সময় তাদের (সংবাদ) কাভার করতে যায়। তাদেরকে ধরে পেটাল, তাদের ধরে মারল, তাদের ওপর হামলা করল।

'আমাদের মহিলা আওয়ামী লীগ এবং মহিলা যুবলীগ মিছিল নিয়ে আসছিল, যেভাবে তাদের রাস্তায় ফেলে অত্যাচার করেছে! সেই অত্যাচারের কথা তারা লজ্জায় বলতে পারে না। এমনভাবে, এত অমানবিকভাবে, তাদের মাটিতে ফেলে, কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে তাদের নানাভাবে; বলতে গেলে, এক ধরনের পাশবিক অত্যাচার করা। এইভাবে মেয়েদের ওপর অত্যাচার তারা করেছে,' বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'পুলিশ কী দোষ করেছিল আমি জানি না। সেই পুলিশকে পিটিয়ে পিটিয়ে মারার পর যখন পুলিশ বেহুঁশ হয়ে গেছে, মাথার হেলমেটটা ফেলে দিয়ে সেখানে কুপিয়েছে এবং সেখানে কতগুলো পুলিশকে তারা আহত করেছে। আনসারকে হত্যা করেছে। অ্যাম্বুলেন্সে রোগী যাচ্ছে, সেই অ্যাম্বুলেন্সের ওপর আক্রমণ। রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ঢুকে গাড়ি পুড়িয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, পুলিশকে মেরেছে। আনসারকে মেরেছে। রেলগাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কমিউটার ট্রেন পুড়িয়ে দিয়েছে এবং রেল লাইনের পাত কেটে রেখে দিয়েছে যাতে বড় ধরনের একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়।

'এই অ্যাকসিডেন্ট হলে কী হবে? সাধারণ মানুষ মারা যাবে। তারা মানুষকে মেরে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। রাজনীতি যদি মানুষের জন্য হয় তাহলে মানুষ মেরে তো আর সরকারে যাওয়া যায় না কিন্তু তারা সেই কাজগুলো করে যাচ্ছে,' বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, 'ছাত্র-ছাত্রীরা আজকে পরীক্ষা দিতে পারছে না। ডিসেম্বরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে। আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, নভেম্বর মাসের মধ্যে ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে যাবে। আগে থেকে সেটা পরিকল্পনা করা ছিল। বাচ্চারা পরীক্ষা দেবে, তারা পরীক্ষায় পাস করবে, তাদের রেজাল্ট হবে। এই ৩০ নভেম্বরের আগেই তাদের রেজাল্ট হয়ে যাওয়ার কথা। তারা এখন স্কুলে যেতে পারছে না, কী? হরতাল-অবরোধ। আগুন দিয়ে তারা গাড়ি পোড়াচ্ছে, বাস পোড়াচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে, মানুষের ওপর হামলা করছে। এখানে তারা আবার মানুষ পোড়ানো শুরু করে দিয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Exporters to get Tk 108.5 for a dollar from Aug 1

Taka gains against dollar after years

Taka gains ground as dollar influx rises, strengthening currency after years

1h ago