‘হারের ধাক্কা সহজে কাটাতে পারব না’
সূর্যকুমার যাদব এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না কি হয়ে গেল! পুরো বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিয়েও ফাইনালে গিয়ে হিসেব মেলাতে পারলেন না তারা। টুর্নামেন্টে মাত্র একটাই ম্যাচ হারলেন, কিন্তু সেটা ফাইনালে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে তাই বললেন হারে ধাক্কা এখনো বেসামাল করে রেখেছে তাদের।
বিশ্বকাপ শেষের ঠিক চারদিনের মধ্যেই আজ বিশাখাপত্তমে শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। নিয়মিত তারকাদের অনুপস্থিতিতে সিরিজটিতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সূর্যকুমার। ফাইনাল ম্যাচটি তারও কেটে চরম বাজে। ২৮ বলে আউট হন ১৮ রান করে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে রয়ে গেছে বিশ্বকাপের রেশ। সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে সূর্যকুমারকে তাই ঘুরেফিরে যেতে হলো বিশ্বকাপে। যেখানে এখন উঁচু হয়ে আছে আক্ষেপের পাহাড়, 'প্রচণ্ড হতাশ। যেভাবে পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছি তাতে দলের সবাইকে নিয়ে গর্বিত কিন্তু ফাইনালে হেরে গেলাম, এটা মেনে নিতে পারছি না। মনে হচ্ছে ঘোরের মধ্যে আছি, সেটা কাটতে সময় লাগবে।'
বিস্ফোরক এই ব্যাটার মনে করেন পুরো ভারতের জন্য এটি ছিলো বিশাল ধাক্কা। রীতিমতো পুরো সময়টাকে আতঙ্কের মতোন মনে হচ্ছে তার, 'খুবই কঠিন সময়। সহজে এই হারের ধাক্কা কাটাতে পারব না। তবু জানি নতুন সিরিজ শুরু করতে হবে, সামনে এগুতে হবে। কিন্তু বারবার ফাইনালটা মাথায় হানা দিচ্ছে। ফাইনাল হার যেন ছিল আতঙ্কের মতো। কিছুতেই ধাক্কাটা কাটাতে পারছি না।'
বিশাখাপত্তমে আজ শুরুর পর ২৬ নভেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচ থ্রিবান্দামে। ২৮ নভেম্বর গুয়াহাটিতে তৃতীয়, ১ ডিসেম্বর রায়পুরে চতুর্থ ও ৩ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে হবে শেষ ম্যাচ।
বিশ্বকাপের পর পর হওয়ায় নিয়মিত অনেক তারকাকে বিশ্রামে দিয়ে অজিদের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের লড়াইয়ে নামছে ভারত। তবে যারা আছেন তাদের নিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে তার, 'স্কোয়াডে প্রচুর প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। প্রত্যেকেই ভালো খেলছে। ওদের উপর আশা আছে। পুরনো ভুলে নতুন করতে করতে পারব। সিরিজটা ভালো কাটবে আশা করি।'
ভারতের টি-টোয়েন্টি দল: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), রুতুরাজ গায়কোয়াড় (সহ-অধিনায়ক), শ্রেয়াস আইয়ার (শেষ দু'টি ম্যাচের জন্য) ঈশান কিশন, যশস্বী জয়সওয়াল, তিলক বর্মা, রিঙ্কু সিংহ, জিতেশ শর্মা (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, আকসার পটেল, শিবম দুবে, রবি বিষ্ণোই, আরশদীপ সিংহ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আবেশ খান এবং মুকেশ কুমার।
Comments