আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ব্যবহৃত পিচেই খেলা জানালেও সমান সুযোগ দেখছেন কামিন্স

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের পিচ দেখে ব্যবহৃতই মনে হয়েছে প্যাট কামিন্সের। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কোনো দলের জন্যই বাড়তি সুবিধা দেখছেন না।

ব্যবহৃত পিচেই খেলা জানালেও সমান সুযোগ দেখছেন কামিন্স

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের পিচ দেখে ব্যবহৃতই মনে হয়েছে প্যাট কামিন্সের। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কোনো দলের জন্যই বাড়তি সুবিধা দেখছেন না।
ব্যবহৃত পিচেই খেলা জানালেও সমান সুযোগ দেখছেন কামিন্স
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচ এমনিতেই আলোচ্য বিষয়। আর এবারের আসরের সেমিফাইনালের আগে পিচ নিয়ে বিতর্ক ওঠায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও চলে এসেছে সেটা। পূর্বনির্ধারিত নতুন পিচের বদলে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ অন্য পিচে হয়েছে বিসিসিআইয়ের নির্দেশে। ব্যবহৃত পিচে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে হয়েছে তুমুল সমালোচনাও। এবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের পিচ দেখে ব্যবহৃতই মনে হয়েছে প্যাট কামিন্সের। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কোনো দলের জন্যই বাড়তি সুবিধা দেখছেন না।

আগামীকাল রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এর আগের দিন শনিবার সংবাদ সম্মেলনে পিচ নিয়ে কামিন্স বলেছেন, 'আমি পিচ ভালোভাবে বুঝতে পারা ব্যক্তি নই। তবে দেখে মজবুত মনে হলো, ভালো উইকেট মনে হলো।'

পিচ ব্যবহৃত কিনা এমন প্রশ্নে ডানহাতি এই পেসারের উত্তর, 'হ্যাঁ, আমার মনে হয়, পাকিস্তান এখানে কোনো দলের সঙ্গে খেলেছে।' আহমেদাবাদে পাকিস্তান খেলেছিল একটিমাত্র ম্যাচই। বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতের বিপক্ষে তাদের ওই ম্যাচটি হয়েছিল গত ১৪ অক্টোবর।

ব্যবহৃত পিচে ম্যাচ আয়োজন করে স্বাগতিক ভারত বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে, এমন দাবি করেছেন অনেকেই। যদিও প্রথম সেমিফাইনালে স্পিনারদের সে অর্থে বাড়তি সাহায্য পেতে দেখা যায়নি। রান উৎসবই হয়েছে বরং। কলকাতায় অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালও হয়েছে ব্যবহৃত পিচেই। আইসিসি পরে জানিয়েছিল, নকআউট ম্যাচে নতুন পিচ ব্যবহার করতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

ভারত তাদের চিরচেনা উইকেটে খেললেও তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না অজি অধিনায়ক। তার দৃষ্টিতে, দুই দলের জন্য থাকবে সমান সুযোগ, 'নিজেদের দেশে নিজেদের উইকেটে খেলার কিছু ফায়দা আছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পুরো জীবন যে ধরনের উইকেটে খেলে এসেছেন, সে ধরনের উইকেটেই খেলবেন। কিন্তু আমরাও এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এটা অবশ্যই দুই দলের জন্য সমান।'

আহমেদাবাদে হাই-স্কোরিং ম্যাচের প্রত্যাশা রাখছেন কামিন্স। পিচের মতো ফাইনালের টসও অতটা গুরুত্বপূর্ণ না তার কাছে। তবে রাতে শিশির পড়ার বিষয়টি মাথায় রয়েছে তার, 'আমার মনে হয়, টুর্নামেন্টজুড়ে এখানে বড় বড় স্কোর হয়েছে। ভালো উইকেট ছিল। সব ভেন্যুর মধ্যে সম্ভবত এই ভেন্যুতে টস অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যেমনটা মুম্বাইয়ে বা অন্য ভেন্যুর ক্ষেত্রে ছিল। এই শহর ও ভেন্যুতে মনে হচ্ছে, অন্য যেসব জায়গায় খেলেছি আমরা, সেখানের তুলনায় বেশি শিশির থাকবে।'

শিশির প্রসঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, 'এটা কালকের আগে চিন্তা করার বিষয় এবং এটা (শিশিরের ভাবনা) কেবল ম্যাচের শেষ চতুর্থাংশেই আসতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago