ওয়ানডে থেকে এখনই অবসর নিচ্ছেন না স্টোকস
অধিনায়ক জস বাটলারের অনুরোধে বিশ্বকাপের আগে অবসর থেকে ফিরেছিলেন বেন স্টোকস। ধারণা করা হয়েছিল বিশ্বকাপ শেষেই হয়তো আবার ছাড়বেন এই সংস্করণ। তবে সহসাই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলছেন না তিনি! পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ জয় তুলে নেওয়ার পর এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন ইংলিশদের টেস্ট অধিনায়ক।
শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯৩ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৩৭ রান তোলে দলটি। জবাবে ২৪৪ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। আর এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত হয়ে যায় ইংলিশদের।
অথচ এবার ফেভারিট হিসেবেই বিশ্বকাপে এসেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রথম সাত ম্যাচ মাত্র একটি জয় পায় তারা। শেষ দুটি ম্যাচে দাপুটে জয় পেলেও সেমি-ফাইনালে খেলার জন্য যথেষ্ট হয়নি। কিছুটা দেরিতে জ্বলে ওঠে দলটি। দলের এমন ব্যর্থতায় সাবেক অনেক ক্রিকেটার ব্যাটারদের বিশেষকরে স্টোকসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। কেউ কেউ তো তাকে বিশ্বকাপের মাঝেই ছাঁটাই করে ফেলতে বলেছিলেন।
তবে ওয়ানডে থেকে আবার অবসরে যাবেন কি-না তা বিশ্বকাপ শেষেই সিদ্ধান্ত নিবেন স্টোকস। ইডেনে ম্যাচ শেষে তাকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'আগেও বলেছিলাম যে কাজের চাপের কারণেই এই সংস্করণ থেকে আমি সরে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি টেস্ট অধিনায়ক, সামনে অনেক খেলা আসছে, অনেক কিছু আছে যা আমি টেস্ট দলের হয়ে করতে চাই। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যা সম্ভবত আমাকে বেশ কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছ। বিষয়টা নিয়ে আরও চিন্তা করতে হবে।'
চোটের কারণে এবারের বিশ্বকাপে শুরুতে খেলতে পারেননি স্টোকস। পরে ফিরলেও এখনও শতভাগ ফিট নন তিনি। তাই বিশ্বকাপ শেষেই বাঁ হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাবেন। জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের সঙ্গে ভারত সফরে ফিট হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী এই তারকা, 'সামনেই ক্রিসমাস, এই সবকিছুর মধ্যে আমার হাঁটুকে ঠিক রাখাও আমার বড় কাজ। তাই আমি নিজেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে চাই।'
বিশ্বকাপ অভিযান না হলেও শেষটা ভালো করতে পেরে খুশি স্টোকস, 'পরাজয়ের চেয়ে শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়াটা অনেক ভালো। কিন্তু আমি মনে করি না যে শেষ দুটি ম্যাচ সবকিছুকে ঢেকে ফেলবে। এই টুর্নামেন্টটি আমাদের জন্য স্পষ্টতই খুব হতাশাজনক ছিল। আমরা এটি সম্পর্কে খুব সচেতন। আমি এটা অনেকবারই বলছি যে, খুবই খারাপ খেলেছি। এটাকে ভুলতে হবে ও নতুন করে লড়াইয়ে নামতে হবে।'
এবারের বিশ্বকাপে ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন স্টোকস। সেই ইনিংসেই দলের হয়ে ৫১.৬৬ গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১০ রান করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে তারচেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল ডেভিড মালান। ৪৪.৮৮ গড়ে তার সংগ্রহ ৪০৪ রান।
Comments